নিজস্ব প্রতিবেদক »
আব্দুল জব্বারের বলীখেলা ঘিরে তিনদিনব্যাপী বৈশাখী মেলা শেষ হয়েছে। বিকিকিনি মন্দায় মেলা আরও একদিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলেন মেলায় আগত ব্যবসায়ীরা। তবে তিনদিনেই শেষ করার নির্দেশ দেন সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
গতকাল মঙ্গলবার মেলার শেষ দিনে দেখা গেছে, ‘ঈদ বাজার এবং মেলা একই সাথে চলার কারণে বুঝার উপায় নেই জনসমাগম মেলার নাকি ঈদ বাজারের। তবে মেলায় বিভিন্ন স্টলে দেখা গেছে দর্শনার্থীর ভিড়। মৃৎশিল্পের স্টলে মানুষের ভিড় ছিল লক্ষ্যণীয়। বিভিন্ন শো-পিস, মাটির তৈরি ব্যাংক, ফুলদানি, কাপ-পিরিচ, জগ-গ্লাস ও ধর্মীয় নানা স্মারক কিনছেন ক্রেতারা। তাছাড়া বাঁশ-বেতের তৈরি জিনিসপত্রেরও ভাল চাহিদা ছিল। হাতপাখা, শীতলপাটি, বাঁশের শলার তৈরি মাছ ধরার চাই (ফাঁদ), ডালা, কুলাসহ নানা গৃহস্থালী সামগ্রী কেনার হিড়িক পড়ে। টবসহ বিভিন্ন গাছের চারা কিনেছেন সৌখিন মানুষ।
এবারের স্বল্প সময়ের পরিকল্পনার কারণে মেলায় বেশি স্টল বসেনি। যা বসেছে ফুটপাত ঘিরেই। তাছাড়া গাড়ি চলাচল ছিল স্বাভাবিক। মেলা উপলক্ষে কেউ ঘুরতে না আসলেও ঈদ বাজার করে যাওয়ার সময় মেলায় ঢুঁ মেরেছে অনেকেই। আবার যারা মেলায় গিয়েছে তারা কিছু না কিছু কিনেছে। কারণ জব্বারের বলিখেলা কেন্দ্রীক মেলা চট্টলার মানুষের গৃহস্থালী জিনিসপত্র কেনার অন্যতম স্থান। তবে গত দু’বছর মেলা না হওয়ায় এবারের মেলা হবে কি না তা নিয়ে সন্দিহান ছিল বেশিরভাগ মানুষ।
তবে বিকিকিনিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ব্যবসায়ীরা। এসময় এক মৃৎশিল্প ব্যবসায়ী বলেন, ‘সুদূর টাঙ্গাইল থেকে দুই ট্রাক মাল নিয়ে এবারের মেলায় এসেছি। তবে এখনও আশানুরূপ বিকিকিনি করতে পারিনি। এরমধ্যে বেশিরভাগ মাল থেকে গেছে। এসব আবার ফেরত নিয়ে যাওয়াও আমাদের জন্য বোঝা হয়ে গেছে।’
এদিকে মেলা একদিন বাড়ানোর একটি গুঞ্জন উঠেছে। কিন্তু এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হলো কি না জানতে যোগাযোগ করা হয় জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা ও মেলা কমিটির সভাপতি জহল লাল হাজারীর সঙ্গে। তিনি সুপ্রভাতকে বলেন, ‘রমজান উপলক্ষে মেলায় জনসমাগম কম হওয়াতে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ব্যবসায়ীরা মেলার সময় একদিন বাড়ানোর অনুরোধ করেছেন। তাছাড়া মেলার কারণে যান চলাচলও বন্ধ হয়নি। তবে এ বিষয়ে চসিক মেয়র এবং পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলবো।’
মেলা বাড়ানোর কোন সম্ভাবনা নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি সুপ্রভাতকে বলেন, ‘পাঁচদিনে জায়গায় তিনদিন মেলা হয়েছে। এটিই চূড়ান্ত।’