সুপ্রভাত ডেস্ক »
অভিষেক ম্যাচে অপরাজিত ফিফটি করে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটের জয় এনে দিয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম। পাঁচ ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ ১-০ত এগিয়ে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে শুক্রবার জিম্বাবুয়ে অলআউট হয় ১২৪ রানে। বাংলাদেশের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ ও দেড় বছর পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।
রান তাড়ায় বাংলাদেশ লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ২৮ বল বাকি রেখে। টি-টোয়েন্টি অভিষেকে তিন দফায় জীবন পেয়ে ৪৭ বলে ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন তানজিদ হাসান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ওভারেই হারায় অভিজ্ঞ ওপেনার ক্রেইগ আরভিনকে (০)। দ্বিতীয় উইকেটে ধাক্কা কিছুটা সামাল দেন অভিষিক্ত জয়লর্ড গাম্বি ও তরুণ ব্রায়ান বেনেট।
এউ জুটি ভাঙার পরই নামে ভয়াবহ ধস। লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে আউট হন গাম্বি (১৭)। রান আউট হয়ে যান বেনেট (১৬)। শেখ মেহেদি হাসানকে সুইপ করতে গিয়ে প্রথম বলে আউট হন সিকান্দারা রাজা।
কোনো রান যোগ না করেই তিন উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।
তাসকিনের বল ডিফেন্স করতে গিয়ে স্টাম্পে টেনে আনেন অভিজ্ঞ শন উইলিয়ামসন। পরের বলেই পয়েন্ট ক্যাচ দেন রায়ান বার্ল। একটু পর বিদায় নেন লুক জঙ্গুয়ে।
১ উইকেটে ৩৬ থেকে জিম্বাবুয়ের রান হয়ে যায় ৭ উইকেটে ৪১।
অষ্টম উইকেটে দারুণ প্রতিরোধ গড়ে জিম্বাবুয়ের রেকর্ড ৭৫ রান যোগ করেন ক্লাইভ মাডান্ডে ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা।
৩৯ বলে ৪৩ রান করা মাডান্ডেকে দুর্দান্ত ইয়র্কারে বোল্ড করেন তাসকিন। দুটি করে চার-ছক্কায় ৩৪ রান করে ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হন মাসাকাদজা।
রান তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারেই ব্লেসিং মুজারাবানির ভেতরে ঢোকা বলে বোল্ড হন লিটন কুমার দাস (১)। তৃতীয় ওভারের পর বৃষ্টি নেমে খেলা বন্ধ থাকে আধ ঘণ্টা।
খেলা শুরুর পর চতুর্থ ওভারে মুজারাবানির বলে দুই দফায় সহজ ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান চার রানে থাকে তানজিদ। এই পেসারের পরের ওভারেই একটি চার ও দুটি ছক্কা মারেন অভিষিক্ত ব্যাটসম্যান। অষ্টম ওভারে আরেক দফা বৃষ্টিতে বন্ধ থাকে খেলা।
পরে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হন ২৪ বলে ২১ রান করে।
তানজিদ ফিফটিতে পা রাখেন ৩৬ বলে। ৫৬ রানে আবার জীবন পান তিনি। তার সঙ্গে তাওহিদ হৃদয়ের জুটিতে শেষ হয় ম্যাচ।
৮ চার ও ২ ছক্কায় ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন তানজিদ। টি-টোয়েন্টি অভিষেকে বাংলাদেশের হয়ে ফিফটি করতে পেরেছেন আর কেবল আরেক বাঁহাতি ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিক। ২০০৭ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭১ করেছিলেন তিনি।
হৃদয় অপরাজিত থাকেন ১৮ বলে ৩৩ রান করে।
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ রোববার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ১২৪ (গাম্বি ১৭, আরভিন ০, বেনেট ১৬, উইলিয়ামস ০, রাজা ০, মাডান্ডে ৪৩, বার্ল ০, জঙ্গুয়ে ২, মাসাকাদজা ৩৪, মুজারাবানি ১, এনগারাভা ২*; শরিফুল ৪-০-৩৭-০, মেহেদি ৪-১-১৬-২, তাসকিন ৪-০-১৪-৩, সাইফ উদ্দিন ৪-০-১৫-৩, রিশাদ ৪-০-৩৭-০)।
বাংলাদেশ: ১৫.২ ওভারে ১২৬/২ (লিটন ১, তানজিদ ৬৭*, শান্ত ২১, হৃদয় ৩৩*; মুজারাবানি ৪-০-২৪-০, এনগারাভা ৪-০-৩১-১, রাজা ৪-০-৩১-০, বেনেট ১-০-১০-০, জঙ্গুয়ে ১.২-০-১৪-১, এনডিলোভু ১-০-১৫-০)।
ফল: বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: পাঁচ ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ ১-০ত এগিয়ে।
ম্যান অব দা ম্যাচ: তাসকিন আহমেদ।