মো. জাকির হোসেন »
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথগ্রহণ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত হবে। আমেরিকার নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের এমন অভিষেক পৃথিবী এর আগে কখনও দেখেছে বলে জানা নেই। অভিষেকের আগের নানা জমকালো অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। বিশিষ্টজনদের নিয়ে নৈশভোজ, অভিষেকের পূর্ণাঙ্গ মহড়াসহ অনেক কিছুই বাতিল করা হয়েছে। প্রেসিডেনসিয়াল প্যারেডের পরিসরও ছোট করে আনা হয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য এবার আর আগের মতো অনুষ্ঠান উন্মুক্ত থাকছে না। প্যারেডের সময়ও রাস্তার দু’পাশে থাকবে না মানুষের ভিড়। বাইডেনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাতে কোনও বিশৃঙ্খলা না হয় এ জন্য ওয়াশিংটন ডিসি কার্যত সামরিক গ্যারিসনে পরিণত হয়েছে। কেবল ওয়াশিংটন ডিসিতেই ২৫ হাজারের বেশি সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তারপরও উৎকণ্ঠা কাটছে না। মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো খবর দিয়েছে, ওয়াশিংটন ডিসির নিরাপত্তায় নিয়োজিত লোকজনের মধ্যে ট্রাম্পের প্রতি সহানুভূতিশীল পক্ষ থাকতে পারে। এ অবস্থায় ওয়াশিংটন ডিসিতে পাহারায় নিয়োজিত সেনা সদস্যদের ওপর নজরদারির জন্য পাল্টা সেনা গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। কেবল ওয়াশিংটন ডিসি নয়, ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড আগে থেকেই ৫০টি রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে উগ্র ট্রাম্প সমর্থকরা নজিরবিহীন ঘৃণ্য আক্রমণ করে এবং এ ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনের শপথের ২ দিন আগে থেকেই দেশজুড়ে প্রতিবাদ মিছিল শুরু করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা। প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণ হলেও কোনও কোনও অঞ্চলে প্রতিবাদীদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, চরমপন্থী গোষ্ঠী বুগালুর সদস্যদের কোনও কোনও মিছিলে দেখতে পাওয়া গিয়েছে। এই গোষ্ঠী আমেরিকায় আরও একটি গৃহযুদ্ধ ঘটিয়ে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়।
মিথ্যাচার, কথা ও কাজে উগ্রতা, শ্বেতাঙ্গ উগ্রবাদকে উসকে দেওয়া, একনায়কতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদী আচরণ এবং মার্কিন সমাজকে ভয়ংকরভাবে বিভাজনের মাধ্যমে মার্কিন গণতন্ত্রকে বিপন্ন করে তুলেছেন ট্রাম্প। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ট্রাম্প তাঁর নিজ দেশের গণতন্ত্রকে যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন তার পূর্বসূরি প্রেসিডেন্টরা বিভিন্ন দেশের গণতন্ত্রকে এর চেয়েও ভয়ংকরভাবে ধ্বংস করেছে। অনেক দেশে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারকে অপসারণ কিংবা হত্যা করে সামরিক, স্বৈরাচারী, একনায়ক সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছে, তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে অনেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
যাই হোক, আজকের লেখার বিষয়ে ফিরে আসি। ট্রাম্প তার বল্গাহীন ক্ষমতালিপ্সা চরিতার্থ করতে নানা অপকৌশল অবলম্বন করেছেন। নির্বাচনে কারচুপি, অনিয়মের মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে ট্রাম্প আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। সর্বশেষ সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকানদের দিয়ে তিনি নির্বাচনের সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়াটি বাতিল করানোর অপকৌশল অবলম্বন করেছিলেন। তার অপকৌশলকে রিপাবলিকান সিনেটররা সমর্থন করবেন না আঁচ করতে পেরে তিনি তার সমর্থকদের উসকে দিয়েছেন ক্যাপিটল হিল আক্রমণ করতে। মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে অবিশ্বাসের বীজ ঢুকিয়ে দিয়েছেন। ট্রাম্প মার্কিন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি মার্কিন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায়ও বড় ফাটল সৃষ্টি করেছেন, যার ভেতরে ঢুকে পড়েছে বর্ণবাদ, ফ্যাসিবাদ ও উগ্রবাদ।
অভ্যন্তরীণভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি ট্রাম্প বহির্বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের যে নেতৃস্থানীয় অবস্থান ছিল সে ইমেজকেও দারুণভাবে ক্ষুণœ করেছেন। জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ট্রাম্প। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে চাঁদা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। ভয়ংকর সব অভিবাসনবিরোধী আইন ও বিধিমালার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসনবান্ধব মানবিক ভাবমূর্তিকে ধূলিসাৎ করেছেন। চার দশকের মধ্যে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক সবচেয়ে খারাপ হয়েছে। তাইপের ওপর থেকে সব বিধিনিষেধ তুলে দিয়ে চীনকে আরও উসকানি দিয়ে রেখে গেছেন ট্রাম্প। ব্রেক্সিট সমস্যা থেকে শুরু করে বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ট্রাম্প একলা চলার নীতি গ্রহণ করেছিলেন। ফলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে ইউরোপীয় মিত্ররাও। কিউবার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করতে জো বাইডেন বিশেষভাবে ইচ্ছুক, সেই কিউবাকে হঠাৎ করে সন্ত্রাসে মদতদাতা রাষ্ট্রের তালিকায় ঢোকানো হয়েছে। ইরানে এখন আল কায়দা তাদের প্রধান ঘাঁটি তৈরি করেছে এই অভিযোগ তুলে কিছু সিনিয়র ইরানি নেতা এবং প্রতিষ্ঠানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছেন ট্রাম্প। জ্ঞান-বিজ্ঞান, চিকিৎসা শাস্ত্রে উন্নত দেশ হওয়া সত্ত্বেও ট্রাম্পের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যুও আক্রান্তের দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। স্মরণকালের ভয়াবহ অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক মন্দাবস্থা ও অস্থিরতা বিরাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রে।
ইতিহাসের এমন এক প্রতিকূল সময়ে জো বাইডেন প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। ট্রাম্পবাদকে পরাভূত করে বাইডেনবাদ কতটুকু জয়ী হবে তা সময়ই বলে দেবে। তবে আশাবাদী হওয়ার মতো যথেষ্ট কারণ রয়েছে। ব্যক্তিগত জীবনে পোড়খাওয়া মানুষ বাইডেন একজন ভালো প্রশাসক ও সংগঠক। ওবামার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি যথেষ্ট অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। মাত্র ২৯ বছর বয়সে সিনেটর নির্বাচিত হওয়ায় মার্কিন রাজনীতি সম্পর্কে তাঁর অভিজ্ঞতাও প্রচুর। জয়ের পরপরই তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছিলেন, ‘সামনে আমাদের কঠিন পথ, কিন্তু আমি অঙ্গীকার করছি: আমি আমেরিকার সব মানুষের প্রেসিডেন্ট হবো। বাইডেন বলেছেন, ‘বিদ্বেষের বদলে ভালোবাসা, বিভাজনের বদলে ঐক্য এবং কল্পনার বদলে বিজ্ঞান- এ বোধ হোক আমাদের এগোনোর পথ।’ আমি এ দায়িত্ব পেতে চেয়েছি যেন দেশের ভেতর নিজেদের মধ্যে ঐক্য ফেরাতে পারি, এবং একই সঙ্গে বিশ্বদরবারে আমেরিকাকে মহিমান্বিত করে তুলতে পারি।’
জো বাইডেন তার প্রাথমিক কাজও নির্ধারণ করে ফেলেছেন। তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম কাজ হচ্ছে করোনা মহামারির কবল থেকে আমেরিকাকে মুক্ত করা। তিনি। তার দ্বিতীয় কাজ, তার মতে, ট্রাম্পের আমল ছিল আমেরিকার অন্ধকার যুগ। এই অন্ধকার যুগ থেকে আমেরিকাকে আলোয় ফেরানো। আমেরিকার অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে তিনি ১০০ দিনের কর্মসূচি প্রণয়ন করেছেন। বাইডেন তার প্রতিশ্রুতিপূরণ ও সদিচ্ছার প্রমাণ দিতে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনই প্রায় ডজনখানেক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন।
ট্রাম্পের সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব নীতি বদলে ফেলা হয়েছিল, সেগুলো আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে এসব নির্বাহী আদেশ। এরমধ্যে রয়েছে জলবায়ু চুক্তিতে ফেরা, সাত মুসলিম দেশের যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া, নতুন অভিবাসন নীতির খসড়া ঘোষণা, যা লাখো অনিবন্ধিত অভিবাসীর বৈধতা পাওয়ার পথ খুলবে ইত্যাদি।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করছেন, অভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্র দুই নীতির ক্ষেত্রেই বাইডেন হয়তো ওবামা নীতিতে ফিরে যাবেন। চীনের সঙ্গে শত্রুতার পরিবর্তে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে প্রাধান্য দেবেন। আমেরিকার ক্ষত মেরামত এবং ঐক্য ও সংহতির উদ্যোগে বাইডেনবিরোধী রিপাবলিকানদের একটি অংশের সমর্থন পাবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়। ক্যাপিটল হিলে হামলাকে রিপাবলিকানদের অনেকে নিন্দা জানিয়েছে।
আশার পাশাপাশি হতাশারও কারণ রয়েছে। ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেনের দ্বিতীয় মেয়াদেই মধ্যপ্রাচ্যে বিশেষত সিরিয়ায় উগ্রপন্থা ও জঙ্গিবাদের উত্থান ও চূড়ান্ত বিকাশ হয়েছিল। ওই সংকটের পেছনে প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে বাইডেনের ভূমিকা নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। বাইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে নিয়োগ পেয়েছেন অ্যান্টনি ব্লিংকেন। ব্লিংকেন ওবামা আমলে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সমন্বয়ক হিসেবে বাইডেন ব্রেট ম্যাকগার্কেরকে নিয়োগ দিয়েছেন। সিরিয়া ভেঙে যে তিন-চারটি নতুন রাষ্ট্রের চিত্র অঙ্কন করা হচ্ছে, তা অনেকটাই ম্যাকগার্কের চিন্তাপ্রসূত বলে মনে করা হয়। বাইডেনের পররাষ্ট্র দফতরে জন কেরি, অ্যান্টনি ব্লিংকেন, ব্রেট ম্যাকগার্ক এবং জেইক সুলিভ্যানের প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে আবার যুদ্ধের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি ইয়েমেন, সিরিয়া গৃহযুদ্ধের সমাপ্তির সম্ভাবনা হ্রাস পেয়েছে। লিবিয়াকে দ্বিখ-িত করার পরিকল্পনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ফিলিস্তিনিদের মাতৃভূমি থেকে উৎখাত করে ইসরায়েলের অবৈধ বসতি স্থাপন অব্যাহত থাকবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। সংঘর্ষ জিইয়ে রাখার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের প্রাকৃতিক সম্পদ এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার গতানুগতিক মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতেই বাইডেন ফিরে যাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ক্যাপিটল হিলে আক্রমণকারীদের কাছে বর্ণবাদী কনফেডারেট ফ্ল্যাগ দেখা গেছে। গৃহযুদ্ধের সময় থেকেই এই পতাকার বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে। অভিযোগ, এই পতাকা বর্ণবাদী। বস্তুত, শ্বেতাঙ্গ আধিপত্য কায়েম করতে বহু সময়েই এই পতাকা ব্যবহার করা হয়েছে। এখনও বর্ণবাদীরা এই পতাকাটিকে সিম্বল হিসেবে ব্যবহার করেন। দীর্ঘদিন ধরে এই পতাকাটি বাতিলের দাবি উঠলেও ট্রাম্পপন্থিরা তা প্রদর্শন করে যুদ্ধের ইঙ্গিত দিয়েছে বৈকি। আমেরিকায় সাদা-কালো বিভাজনের পাশাপাশি সাদাদের নিজেদের মধ্যেও এলিট ও শ্রমজীবী শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে সুস্পষ্ট বিভাজন রয়েছে। জো বাইডেন এলিট ক্লাসের লোক। তিনি সংখ্যায় অধিক শ্রমজীবীদের স্বার্থরক্ষায় এলিটদের বাধার সম্মুখীন হবেন সন্দেহ নেই। যুগ যুগ ধরে বঞ্চিত কালো মানুষদের সম-অধিকার প্রতিষ্ঠা করা না গেলে গণতন্ত্রের রাজনৈতিক দিক যতই ঝলমলে হোক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক গণতন্ত্র তিমিরেই থেকে যাবে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি গণতন্ত্রের দায়বদ্ধতার সৌন্দর্য কেবলই বইয়ের পাতায় সীমিত থাকবে।
এছাড়াও ইহুদি লবি ও অস্ত্র ব্যবসায়ী কার্টেলের মতো শক্তিশালী স্তম্ভের সঙ্গে যুদ্ধ করে জেতা বাইডেন প্রশাসনের জন্য বড় সমস্যা হবে। বাইডেনের অভিবাসন নীতি সংস্কারের ঘোষণার সাথে সাথে হন্ডুরাস থেকে হাজার হাজার লোকের কাফেলা যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ছুটে আসছে। ট্রাম্প সমর্থক অভিবাসী বিরোধীরা এটিকে বাইডেনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে। অন্যদিকে, মুসলিম বিদ্বেষ জাগিয়ে তুলতে ট্রাম্প ও তার সমর্থকরা বসে থাকবে না। সব মিলিয়ে একটি অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতেই কাজ করতে হবে বাইডেনকে।
ক্ষতিগ্রস্ত গণতন্ত্র মেরামত ও আমেরিকার জনগণের প্রচ- বিভাজনকে হ্রাস করতে ও উগ্রবাদী ট্রাম্পিজমকে পরাভূত করতে হলে কিছু সময়ের জন্য হলেও উদারবাদী গণতন্ত্রের পরিবর্তে কর্তৃত্ববাদী গণতন্ত্র চর্চা করতে হবে বাইডেনকে। বিদ্বেষের রাজনৈতিক দৃশ্যপট থেকে ট্রাম্পকে অপসারণ করতে হলে অভিশংসনে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের এক প্লাটফর্মে আসতে হবে।
বহির্বিশ্বের সঙ্গে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষেত্রে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘বাইডেনিজম’ অতীতের চেয়ে অনেক মানবিক হতে হবে। অন্যথায়, মেয়াদ শেষে অতীতের মতো ‘যুদ্ধবাজ’ তকমা নিয়েই হোয়াইট হাউজ ছাড়তে হবে বাইডেনকে। ‘ট্রাম্পিজম’কে হারিয়ে ‘বাইডেনিজম’ কতটা জয়ী হবে তা জানতে আমাদের অপেক্ষা করতেই হবে।
লেখক : অধ্যাপক, আইন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
ুযড়ংংধরহ১৯৬৫@মসধরষ.পড়স