নিজস্ব প্রতিনিধি, টেকনাফ »
টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমারের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গারা এপারের দালালদের মাধ্যমে সুকৌশলে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অনুপ্রবেশ করছে। সীমান্ত পাড়ি দিতে গিয়ে বাংলাদেশের দায়িত্বরত আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হলে সাথে সাথে নৌকা দিয়ে পুশব্যাক করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলি ও যুদ্ধের তীব্রতা বাড়ায় বিপদে পড়েছেন সেখানকার রোহিঙ্গারা। এর মধ্যে নাফনদীর ওপারে মংডু শহর প্রবেশের খালের মোহনায় রোহিঙ্গারা জড়ো হয়ে টেকনাফ পৌরসভার নাইটক্যং পাড়া, বরইতলী, মহেশখালীয়া পাড়া, খোনকার পাড়া ও শাহপরীর দ্বীপের জালিয়া পাড়া, মিন্ত্রী পাড়া, দক্ষিণ পাড়া, ঘোলার পাড়ার দালালদের মাধ্যমে সুকৌশলে টাকার বিনিময়ে আসছে।
টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ দিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে জানা যায়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনী বিমান হামলা করে মন্ডু শহরের অনেক গ্রাম ধ্বংস করেছে। এসব গ্রামের অনেক মানুষ মর্টার শেলের আঘাতে মারা গেছেন। রোহিঙ্গাদের সব গ্রামে আরাকান আর্মি ঢুকেছে। তারা এক মাস আগে এলাকা খালি করে দিয়েছে। তাদের অনেকেই বাড়ি-ঘর ছেড়ে দিতে রাজি না হওয়ায় তাদের ওপর অনেক নির্যাতন করেছে আরকান আর্মি।
শাহপরী দ্বীপের স্থানীয় কিছু ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্থানীয় কিছু দালাল প্রতিদিন তাদের নিজস্ব মাছ ধরার ট্রলারে রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ করাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে যাদের ট্রলার নেই তারা ওপার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের নিজ দায়িত্বে টাকার বিনিময়ে প্রবেশ করাচ্ছেন।
রোহিঙ্গা পাচারে জড়িত দালালরা হলেন- ঘোলার পাড়া এলাকার আজম উল্লাহর ছেলে জুবাইর, মৃত আবু তাহের এর দুই ছেলে করিম উল্লাহ, ছানা উল্লাহ, ইমান হোসেন এর দুই ছেলে ছেলে মো. তৈয়ুব, মো. হোসেন, মৃত কবির আহমদ এর ছেলে শামসু আলম, ছলিম উল্লাহর ছেলে সাইফুল ইসলাম, আলী হোসেন এর ছেলে শওকত, আজম উল্লাহর ছেলে আকতার কামাল, ভুলায় মাঝির ছেলে মো. আলম, দক্ষিণ পাড়া এলাকার ইয়াছিন মিন্ত্রীর ছেলে শওকত, জহির আহমেদ প্রকাশ জহির বলির ছেলে ইমাম হোসেন, দক্ষিণ পাড়া এলাকার ইমান এর দুই ছেলে আবদুর রহমান, আবদুল্লাহ, মিস্ত্রি পাড়া এলাকার কালুর ছেলে মোজা আলম।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ‘টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্টে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের টহল জোরদার বাড়ানো হয়েছে।’