নিজস্ব প্রতিনিধি, টেকনাফ :
টেকনাফ উপজেলায় বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে নানা প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ। দারুণ উচ্ছ¦সিত হয়ে আহরণের পর জেলেরা এসব মাছ নিয়ে বিক্রির জন্য কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
সরেজমিনে জেলে ঘাটে দেখা যায়, সাগরে মাছ শিকার শেষে উপকূলে ফিরছেন জেলেরা। আর ট্রলার থেকে মৎস্য অবতরণ ঘাটে মাছ নামাতে ব্যস্ত জেলে ও শ্রমিকরা।
সাগরে শিকার শেষে ট্রলারভর্তি মাছ নিয়ে জেলেরা টেকনাফের সাবরাং খুরের মুখ ঘাটে ভিড়ছে। ট্রলার থেকে বিক্রির জন্য ঝুড়িতে রাখা হচ্ছে বিভিন্ন প্রকারের মাছ, যা দেখে মুখে হাসি ওই ট্রলারের মাঝি করিম উল্লাহর।
করিম উল্লাহ বলেন, ৮ দিনের জন্য সাগরে মাছ শিকারে গিয়েছি। কিন্তু পাঁচ দিনের মধ্যে মাছে ট্রলার ভরে যাওয়ায় তা বিক্রির জন্য ঘাটে ফিরে এসেছি। এ বছর ১০ মেট্রিক টনের বেশি বিভিন্ন প্রকারের মাছ পেয়েছি, যেগুলো ১০০টি ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা দরে বিক্রি করেছি।
শামলাপুর মৎস্য ব্যবসায়ী মমতাজ মিয়া বলেন, এখন মাছের দাম অনেক কম। সাগরে প্রচুর মাছ ধরা পড়ায় সব মাছের দাম নিম্নমুখী। ফলে মাছের দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।
মৎস্য ব্যবসায়ী মো. রহিম বলেন, গত কয়েক সপ্তাহে সামুদ্রিক মাছের দাম যা ছিল; এখন একটু কমেছে।
টেকনাফ সদরের মহেষখালীয়া ঘাটের বোট মালিক সমিতির সভাপতি আবদুচ সালাম জানান, ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা ও ২২ দিন ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ থাকার কারণে গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর মাছ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর টেকনাফ থেকে কয়েক হাজার মেট্রিক টন সামুদ্রিক মাছ রপ্তানি করা হয়, এ বছর এখন পর্যন্ত তা কয়েক গুণ বেড়েছে।
এ মুহূর্তের সংবাদ