টানা ভারী বর্ষণে জলাবদ্ধতা 

চরম দুর্ভোগে নগরবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক »

রাতভর বৃষ্টিতে ডুবলো নগরী। লাগাতার মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতে মহানগরীর নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। বিশেষ করে কর্মস্থলে যাবার পথে লোকজনকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।

কোথাও কোথা সড়ক হাঁটু থেকে কোমর সমান পানিতে ডুবে গেছে। জলাবদ্ধতার কারণে সকালের দিকে নগরীর বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে।

বুধবার (৩১ জুলাই) রাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত ভোরের দিকে টানা বর্ষণে রূপ নেয়।

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪৯ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এর আগে, সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ১১৪ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত, ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ৬২ মিলিমিটার এবং ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

টানা বৃষ্টিতে নগরীর মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, বাদুরতলা, শুলকবহর, কাপাসগোলা, চকবাজার, বাকলিয়াসহ নিচু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এছাড়া নগরীর জিইসি মোড়, প্রবর্তক মোড়, পাঁচলাইশ, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, হালিশহরসহ আরও বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। খাল, নালা-নর্দমার পানি উপচে পড়ে। এসব এলাকায় নিচতলার বাসা, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়ে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী বলেন, ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। এজন্য খাল-নালা দিয়ে পানি দ্রুত প্রবাহিত হতে পারছে না। ফলে অনেক এলাকা তলিয়ে গেছে। সিটি করপোরেশনের একাধিক টিম এলাকাগুলোতে গেছে। তারা যেখানে পানি আটকা পড়ছে, সেখানে বাধা অপসারণ করে প্রবাহ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে।

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হওয়ায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টা মাঝারি থেকে ভারি কিংবা অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের জন্য তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত এবং নদীবন্দরের জন্য এক নম্বর নৌ সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে।

এদিকে ভারি বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম নগরী ও জেলায় পাহাড়ধসের সম্ভাবনা আছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।