সুপ্রভাত স্পোর্টস ডেস্ক »
চট্টগ্রামেই টানা তিন ম্যাচ জিতে প্রত্যাশিতভাবে সিরিজও নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক দল। জিতলেও বাংলাদেশের ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন তোলার অনেক জায়গা আছে। বিশেষ করে টপ অর্ডারের ব্যর্থতা প্রায় প্রতি ম্যাচেই ভোগাচ্ছে শান্তদের। বিশ্বকাপ সামনে রেখে যে দুজনের রানে ফেরা জরুরি সেই লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত যে আরও একবার ব্যর্থ। স্কুপ করতে গিয়ে আরেকবার, স্টাম্পে টেনে বোল্ড হলেন লিটন। সম্ভবত বিশ্বকাপ স্কোয়াডেও জায়গা অনিশ্চিত করে ফিরলেন মাথা নিচু করে। ছন্দহীনতায় ভুগছেন অধিনায়ক শান্তও। এক বাউন্ডারিতে ৬ করেই তিনিও বোল্ড হন।
টপ অর্ডার ব্যর্থ হওয়ার পর আরও একবার দায়িত্ব নিলেন তাওহিদ হৃদয়, এবার সঙ্গে পেলেন জাকের আলী অনিককে। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার তৃতীয় ম্যাচের বেশিরভাগটাই হয় দিনের আলোয়, তাতে আগে ব্যাটিং পায় বাংলাদেশ। তাওহিদ হৃদয়ের ফিফটি আর জাকের আলি অনিকের কার্যকর ইনিংসে ১৬৫ রান করে।
বাংলাদেশের রান তাড়ায় গিয়ে সিকান্দার রাজা, ক্রেইগ আরভিনদের আরেকটি ব্যর্থতার দিনেও সফরকারীরা করে ১৫৬ রান। বাংলাদেশ জয় পায় ৯ রানের।
১৬৬ রান জিম্বাবুয়ের জন্য হয়ত একটু বেশিই হয়ে গিয়েছিলো। তবে রাজা, আরভিনরা ভালো খেলতে পারলে লড়াই জমাতে পারত জিম্বাবুয়ে।
ওপেনার টাডিওয়ানশে মারুমানি বেশ কিছুটা সময় টিকে আউট হন ২৬ বলে ৩১ করে। আগের ম্যাচে সামর্থ্যের প্রমাণ দেওয়া জোনাথন ক্যাম্পবেল করেন ১০ বলে ২১।
বাংলাদেশের দর্শকদের ভয়ই পাইয়ে দিয়েছিল জিম্বাবুয়ের অষ্টম উইকেট জুটি! স্বাগতিকদের দেওয়া ১৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় এক পর্যায়ে ৯১ রানে ৮ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। শেষ দিকে ওয়েলিংটন মাসাকাদজা আর ফারাজ আকরাম মিলে ক্ষীণ সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন। নবম উইকেটে তাদের ৫৪ রানের জুটি অবশ্য আক্ষেপই বাড়িয়েছে রাজাদের। বাংলাদেশের দেওয়া লক্ষ্য তাড়ায় ৯ উইকেটে ১৫৬ রানে থামে জিম্বাবুয়ের ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৬৫/৫ (লিটন ১২, তানজিদ ২১, শান্ত ৬, হৃদয় ৫৭, জাকের ৪৪, মাহমুদউল্লাহ ৯*, রিশাদ ৬*; আকরাম ৪-০-৪৪-১, মুজারাবানি ৪-০-১৪-৩, রাজা ৪-০-৩৮-১, মাসাকাদজা ৪-০-৩৪-০, জঙ্গুয়ে ৪-০-৩৩-০)।
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ১৫৬/৯ (গাম্বি ৯, মারুমানি ৩১, বেনেট ৫, আরভিন ৭, রাজা ১, মাডান্ডে ১১, ক্যাম্পবেল ২১, জঙ্গুয়ে ২, মাসাকাদজা ১৩, আকরাম ৩৪*, মুজারাবানি ৯*; তানভির ৪-০-২৬-১, তাসকিন ৪-০-২১-১, সাইফ উদ্দিন ৪-০-৪২-৩, তানজিম ৪-০-২৬-১, রিশাদ ৩-০-৩৮-২, মাহমুদউল্লাহ ১-০-১-১)।
ফল: বাংলাদেশ ৯ রানে জয়ী।
সিরিজ: পাঁচ ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে।
ম্যান অব দা ম্যাচ: তাওহিদ হৃদয়।