নিজস্ব প্রতিনিধি, মহালছড়ি »
খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলা সদর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নোয়াপাড়া গ্রামের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে স্কুল শিক্ষার্থীরা। বিকল্প ব্যবস্থা না করলে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয় অভিভাবকরা।
জানা গেছে, ২০-২৫ পরিবারের ছোট্ট একটি গ্রাম। যে গ্রামে উন্নয়নের ছোঁয়া এখনো পৌঁছায়নি। এ গ্রামের শিশুরা ২ থেকে আড়াই কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে পুরানজয় মহাজন পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে আসা-যাওয়া করে।
অভিভাবক মিন্টু চাকমা বলেন, ছেলে-মেয়েরা স্কুলে গেলে বাড়ি না ফেরা পর্যন্ত প্রতিদিন শঙ্কায় থাকতে হয়। সাঁকোর পরিবর্তে একটি কালভার্ট হলে এ শঙ্কা থেকে মুক্ত হওয়া যেত। এ সমস্যার কথা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি কালভার্ট নির্মাণের আশ^াস প্রদান করলেও আজ অবধি নির্মাণ হয়নি। দ্রুত একটি কালভার্ট নির্মাণ করে দীর্ঘদিনের এ সমস্যা নিরসনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
পুরানজয় মহাজন পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক উন্নয়ন খীসা বলেন, এ সাঁকো দিয়ে শিশুদের পারাপার হওয়া সত্যিই ঝুঁকিপূর্ণ। এ সমস্যার কথা জানতে পেরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সরজমিনে গিয়ে কালভার্ট নির্মাণ করার আশ^াস প্রদান করেছেন বলে শুনেছি। সমস্যা সমাধানে দ্রুত কালভার্ট নির্মাণের কোন বিকল্প নেই বলে জানান তিনি।
মহালছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান রতন কুমার শীল বলেন, গ্রামের শিশুদের পারাপারের সমস্যা নিয়ে তিনি নিজেও সমস্যায় পড়েছেন। এতবড় কালভার্ট নির্মাণ করতে ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা উপজেলা পরিষদে এত টাকা বরাদ্দ হয় না। এটা নির্মাণ করা শুধু পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, জেলা পরিষদ অথবা এলজিইডি দ্বারাই সম্ভব। কয়েকটি দপ্তরে গিয়েও কাজ হচ্ছে না। সবাই আশ^াস দেয় কিন্তু কাজ হয়না। তারপরও এ সমস্যা নিরসনে যতটুকু সম্ভব চেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলে জানান তিনি।