সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে গতকাল স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে টস করতে নেমে অনন্য এক মাইলফলক স্পর্শ করলেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। দেশের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে এক’শ টি-টোয়েন্টি খেলার রেকর্ড ছুঁয়ে ফেললেন জ্যোতি। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে করাচিতে প্রথম টি-টোয়েন্টি ক্যাপ পান তিনি। নানা পথ পেরিয়ে, ক্যারিয়ারের নানা উত্থান-পতন দেখে ম্যাচ সংখ্যার তিন অঙ্ক ছুঁয়ে ফেললেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার। স্মরণীয় এই ম্যাচটি বাংলাদেশেও খেলতে পারতেন। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বকাপ সরিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিয়ে যায় আইসিসি। ফলে শারজাহতে নিগার শততম টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নেমে জয়ও পেয়েছেন। এর আগে সাবেক অধিনায়ক সালমা খাতুন টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ৯৫টি। খেলা চালিয়ে যাওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে রুমানা আহমেদ ও নাহিদা আক্তার ৮৭টি করে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন।
বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা জ্যোতি রান সংখ্যাতেও সবাইকে ছাড়িয়ে। ৯৩ ইনিংসে ১৯৪৪ রান করেছেন ডানহাতি ব্যাটার। ১ সেঞ্চুরির সঙ্গে ৮ ফিফটি আছে তার নামের পাশে। রান সংখ্যায় এরপরই আছেন ফারজানা হক। যার রানের সঙ্গে জ্যোতির পার্থক্য ৬৯১।
জ্যোতির পাশাপাশি স্কট্যলান্ডের ম্যাচে বাঁ-হাতি স্পিনার নাহিদা আক্তারও অনন্য কীর্তি গড়েছেন। প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে শততম উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন নাহিদা। ৮৮টি ম্যাচ খেলে ৮৭ ইনিংসে এমন কীর্তি গড়লেন নাহিদা।
২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে করাচিতে ক্যারিয়ার শুরু করেন নাহিদা। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে নিজের ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন এই স্পিনার। ৫০ উইকেট পেয়েছেন ৪১ ম্যাচে। গতকাল শততম উইকেট পেলেন ৮৮তম ম্যাচে।
সব মিলিয়ে ৮৮ ম্যাচে ১৬.৮২ গড় ও ৫.৭১ ইকোনমিতে এক’শ উইকেট পেয়েছেন নাহিদা। যেখানে ৫ উইকেট পেয়েছেন দুইবার।
৪ উইকেট আছে একটি। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে আছেন সালমা খাতুন। ৯৫ ম্যাচে ৮৪ উইকেট রয়েছে তার নামের পাশে। এ ছাড়া ৮৭ ম্যাচে ৭৫ উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের তৃতীয় সেরা উইকেটশিকারি রুমানা আহমেদ।
সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় শীর্ষে আছেন পাকিস্তানের নিদা দার। ১৫৬ ম্যাচে তার নামের পাশে আছে ১৪৩ উইকেট।