নিজস্ব প্রতিবেদক »
বন্দরে ইস্টার্ন রিফাইনারির ডলফিন জেটিতে নোঙর করা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের তেলবাহী জাহাজ (অয়েল ট্যাংকার) ‘বাংলার জ্যোতি’তে বিস্ফোরণের পর আগুন লাগার ঘটনায় ২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া একজন এখনো নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা যায়।
সোমবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে ওই জাহাজে আগুনের ঘটনা ঘটে। নিহতদের একজন জাহাজটির ডেক ক্যাডেট সৌরভ। অন্য জনের ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন মরদেহ হলেও তাৎক্ষনিকভাবে নাম ও পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার মাসুদ ইকবাল জানান, ক্যাডেট সৌরভের ঝলসানো মরদেহ একটি পাইপের সঙ্গে ঝুলে ছিল। বিস্ফোরণে ছড়িয়ে পড়া আরেকজনের দেহাংশ আশপাশে পাওয়া গেছে।
শিপিং করপোরেশনের নাবিকদের সংগঠন সি ম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ বলছেন, ‘এই দুর্ঘটনায় নিখোঁজের তালিকায় ছিলেন ক্যাডেট সৌরভ, ফোরম্যান নুরুল ইসলাম (৪৫) ও ক্যাজুয়াল স্টাফ হারুন। এক্ষেত্রে খোঁজে পাওয়া অন্য দেহাংশগুলো নুরুল ইসলাম কিংবা হারুনের হওয়ার কথা।’
জানা যায়, জাহাজটি বন্দরের ইস্টার্ন রিফাইনারি ঘাটে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল খালাস করছিল। এতে ১০ হাজার টন অপরিশোধিত তেল ছিল। আজ বেলা পৌনে ১১টার দিকে এর সামনের অংশে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘আগুন লাগার খবর পাওয়ার সাথে সাথেই বন্দর কতৃপক্ষের ৫টি ও নৌবাহিনীর একটি টাগবোট ঘটনাস্থলে যায়। আশপাশে থাকা জাহাজগুলো নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। বিস্ফোরণের কারণ এখনো জানা যায়নি।’
অগ্নিকাণ্ডের শিকার ট্যাংকারটির নাম এমটি বাংলার জ্যোতি। ট্যাংকারটি সাগরে নোঙর করে রাখা বড় ট্যাংকার (মাদার ভেসেল) থেকে তেল পরিবহন করে জেটিতে নিয়ে আসে।
ঘটনার ব্যাপারে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।