সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
করোনার কারণে বন্ধ বাইশ গজের লড়াই। আড়াই মাস ধরে ঘরবন্দি ক্রিকেটাররা। কবে ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন, তাও অনিশ্চিত। এ সময় ভারতের কোন সফর না-থাকলেও মারণ ভাইরাসের কারণে বন্ধ আইপিএলও। আইপিএলের ত্রয়োদশ সংস্করণ চলতি বছর হবে কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। বুধবার বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আইপিএল নিয়ে আশা কথা শুনিয়েছেন। কিন্তু কবে, কোথায় হবে তা কেউ জানে না। এছাড়াও ভারত কবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবে তা নিয়েও রয়েছে সংশয়। এই পরিস্থিতিতে প্রত্যেক ক্রিকেটারেরই কেরিয়ার থেকে কয়েক মাস কমে গেল বলে মনে করছেন টিম ইন্ডিয়ার পেসার উমেশ যাদব।
লকডাউনে ৩২ বছরের বিদর্ভের এই ডানহাতি পেসারের উপলব্ধি, ‘আমাকে ইতিবাচক হতে হবে। খেলা শুরু কখন হবে জানি না। তবে আমাদের আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামতে হবে। আমি অনুশীলনে ফিরতে চাই। ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে অপেক্ষা করা ছাড়া আমাদের কিছু করার নেই। তবে আমাদের সকলের কেরিয়ার থেকে ৬-৮ মাস ক্রিকেট হারিয়ে গেল।’
ভারতীয় ট্র্যাকে তিনি বিরাট কোহলির বোলার যেতে পারে। গত ১০ বছরে আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের স্টপ-স্টার্ট শুরু হওয়া সত্ত্বেও তাকে খেলায় রাখার জন্য কৃতিত্ব তারই। কারণ এটা তার ‘প্রচ- মানসিক শক্তি’-র জন্য।
আড়াইশো বেশি আন্তর্জাতিক উইকেট রয়েছে তিন ফর্ম্যাটে। টেস্ট বিশেষজ্ঞ হওয়ার অনুভূতির প্রতি সাড়া দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করে না। কারণ পিচ থেকে দূরে সময় কাটানো তার একদমই পছন্দের নয়। এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে পিটিআই-কে উমেশ বলেন, ‘সত্য কথা বলতে গেলে আমি মানসিকভাবে সত্যই শক্তিশালী এবং এতে অনেক পার্থক্য হয়।’
ভারতের টেস্ট সিরিজ রয়েছে চলতি বছরের শেষে। সব ঠিকঠাক থাকলে বছরের শেষে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে টিম ইন্ডিয়া। এখন যেহেতু জাতীয় দলের সাদা বলের ফর্ম্যাটে পরিকল্পনায় নেই, তাই ফিট থাকার জন্য যে কোনও ম্যাচে খেলতে চাইছেন। ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেট খেলার ভাবনা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে তা সম্ভব হয়নি। উমেশ বলেন, ‘ভারতে মরশুম শুরু হলে ক্লাবই হোক বা জেলা, যে ম্যাচ পাব, তা খেলব। কারণ ম্যাচ প্র্যাকটিস অত্যন্ত জরুরি।’
খবর : কলকাতাটোয়েন্টিফোর’র।
খেলা