আনোয়ারা প্রতিনিধি »
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে জলদস্যুর কবলে পড়েছে আনোয়ারা উপজেলার ৬টি মাছ ধরার ট্রলার। এসময় জলদস্যুর আক্রমণে একজন মাঝি গুলিবিদ্ধ হওয়াসহ ৩৫ জন জেলে আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তীরে আসা ক্ষতিগ্রস্ত ট্রলার আল্লাহর দানের মালিক আবদুস সবুর।
জলদস্যুর কবলে পড়া একটি ট্রলার গতকাল বুধবার সকালে আনোয়ারা উপকূলে ফিরে আসলে ঘটনাটি জানাজানি হয়। এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রে সোনার চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, আল্লাহর দান ট্রলারের মাঝি আবদুস শুক্কুর (৩৫), জেলে মহিউদ্দিন (৩০), আলমগীর (৩২), ফোরকান (৩৪), আলমগীর (৪২), আলমান (২২), মিনহাজ (২০), ইউনুস (৩০), আহমদ ছাফা (৩৫), ইদ্রীস (৩০) ও আবদুস সবুর (৪০)। আহত অন্যান্য ট্রলারের মাঝিমাল্লারা এখনো উপকূলে ফিরে না আসায় পরিচয় পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, শনিবার উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের পূর্ব গহিরা শঙ্খ নদীর ফকির হাট ঘাট থেকে ২০ থেকে ২৫ টি মাছ ধরার ট্রলার সাগরে যায়। প্রতিটি ট্রলারে ১২ জন করে মাঝি মাল্লা ছিল। মঙ্গলবার দুপুরে ৩ টি ট্রলারে করে ২০ থেকে ২৫ জন জলদস্যু অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের ৬ টি ট্রলারকে ঘিরে ফেলে। এ সময় জলদস্যুরা গুলি করতে করতে তাদের ট্রলারে উঠেপড়ে। একপর্যায়ে জলদস্যুরা মাঝি ও জেলেদের মারধর করে মালামাল, মাছ, তেল, টাকা পয়সা, মোবাইল সব কিছু নিয়ে নেয়।
ক্ষতিগ্রস্থ ছয়টি ট্রলারের মালিকরা হল মো. ইয়াছিন, আবদুস সবুর, মো. ইদ্রীস, গিয়াস উদ্দিন, মো. আলী ও সাদ্দাম হোসেন।
ক্ষতিগ্রস্ত ট্রলার আল্লাহর দানের মালিক আবদুস সবুর বলেন, আমার ট্রলারে ১২ জন মাঝি মাল্লা ছিল। মঙ্গলবার দুপুরে আমার ট্রলার ডাকাতের কবলে পড়ে মারধরের শিকার হয়। এতে ট্রলারের সবাই আহত হয়। মাঝি আবদুস শুক্কুর গুলিবিদ্ধ হয়। বুধবারে ভোরে ট্রলারটি উপকূলে ফিরে আসলে আমরা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। মাঝির গায়ে দুই তিনটা গুলি লেগেছে। ডাকাতেরা ট্রলারের মাছ , ২০০ লিটার তেলসহ ১০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাকী ট্রলারের ইঞ্জিন সমস্যার করণে তারা এখনো আসতে পারেনি, তাদের আনতে বিকল্প কয়েকটি ট্রলার পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ট্রলার মালিক।
আনোয়ারা বারআউলিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ টিটু দত্ত জানান, বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতি বিষয়ে শুনেছি। একজন মাঝি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ঘটনাটি যেহেতু গভীর সমুদ্রে সেহেতু আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকতাকে জানিয়েছি।