বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জনগণ শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন চায় না, জনগণ এই সরকারের পদত্যাগ চায়। কারণ এই সরকার বিগত নির্বাচনে কি করেছে তা সবাই জানে। তাই আগে সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে। তারপর রাষ্ট্রের কাঠামো মেরামত করতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। সেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনে যাবে।
গতকাল রোববার বিকালে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ, গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ ফিরে পাবে কিনা সংশয় কাজ করছে। শুধু দেশের ভেতর নয়, দেশের বাইরেও এটি নিয়ে কথা উঠছে। সবাই বিএনপির দিকে তাকিয়ে। ইতিমধ্যে বিএনপির নেতাকর্মীরা সড়কে আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ ও বিদেশের কাছে বার্তা দিয়েছে, এই সরকারের বিদায় ছাড়া কোনো আপস নয়। এ সরকারের বিদায়ের জন্য যা যা করা দরকার বিএনপির নেতাকর্মীরা তা করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, দেশের মানুষ অতীব কষ্টে, রাগে, ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে। আওয়ামী সরকারকে দেশের জনগণ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এই সরকার একটি দুর্নীতিবাজ সরকার। দুর্নীতির কারণে আজ দেশের বেহাল দশা। এ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। আপনাদের প্রস্তুতি নিতে হবে, বীর চট্টলা থেকেই সরকার পতনের আন্দোলন সূচনা হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বিদ্যুৎ নেই, পানি নেই, গ্যাস নেই, তাই এই সরকারেরও আর দরকার নেই। এটাই আজ জনগণের কথা। দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি বিদ্যুতের সীমাহীন লোড়শেডিং শুরু হয়েছে। মানুষ প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়ে সরকার জাতির সাথে প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করছে। কুইক রেন্টালের নামে সরকার দুর্নীতি ও লুটপাটে ব্যস্ত। পবিত্র রমজান মাসে ধর্মপ্রাণ মানুষ ঠিকমত ইবাদত করতে পারছে না। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে দেশের মানুষের জীবনযাপন খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দাম। জনগণই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে দেশবাসী অতিষ্ঠ। দেশের মানুষ তাই পরিবর্তন চায়। আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এস এম ফজলুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের জনগণকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে রাতে ভোট করে ক্ষমতায় যেতে পারবে না। দেশের জনগণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের দাবি আদায় করে ছাড়বে।
সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্করের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এম. নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী, সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন প্রমুখ।