২৫ বৈশাখ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন তাঁর প্রতি অতল শ্রদ্ধা
বিশ্বকবি
কেশব জিপসী
রবিঠাকুর তোমায় নিয়ে
গর্ব করি কতো,
বিশ্বসভায় সৃষ্টি তোমার
ধরলে তুলে যতো।
এই বাংলার ছয়টি ঋতু
সাতটি রঙের ছবি,
ছন্দে কথায় ছড়িয়ে দিলে
জগত জুড়ে কবি।
মেঠো সুরের মোহন ছোঁয়া
জড়িয়ে দিয়ে গানে,
প্রাণটি সবার মাতিয়ে দিলে
সবদিকে সবখানে।
মাতৃভাষা তোমার হাতেই
বিশ্বে জয়ী হলো,
তোমায় ছাড়া বিশ্বকবি
দিন কি চলে বলো?
বিশ্ব কবি
সুশান্ত কুমার দে
আসছে পঁচিশে বৈশাখ, বেজেছে জয়ঢাক
বিশ্বকবি রবি ঠাকুরের জন্ম তিথির আঁক।
হাতে গড়া কতো ছড়া, গল্প, নাটক, উপন্যাস
খোকার জন্য খুকির জন্য ছড়ায় বারো মাস।
বিশ্বটা তার হাতের মুঠোয় সাহিত্যের সম্ভার
জোড়াসাঁকো পেরিয়ে আজি বিশ্বের দরবার।
পৃথিবীর সেরা সম্মানিত, নোবেল জয়ী কবি
চিরন্তন জাগ্রত তুমি বাংলার প্রতিচ্ছবি।
সব পাঠকদের উপযোগী তোমার সৃষ্টিধারা
অনন্ত রূপ-রস-গন্ধে হয় সবাই পাগলপারা।
অসীম জ্ঞান সম্ভারে- সাজিয়ে দিলে হে রবি
এ পৃথিবীর পাঠাগারে, তুমিই যে মহান কবি!
বিশ্বজয়ী কবি
শচীন্দ্র নাথ গাইন
কলিকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়ির রবি,
বিস্ময়কর প্রতিভাধর বাংলাভাষার কবি।
শুরু যখন প্রথম প্রথম শিশুকালের পাঠ,
তখন থেকেই লিখতে থাকেন, মাত্র বয়স আট।
রুটিনমাফিক পড়াশুনায় দাগ কাটেনি মনে,
লেখার মাঝে হারিয়ে যেতেন তাইতো ক্ষণে ক্ষণে।
বরাবরই ভেতরে তাঁর লেখালেখির টান,
তাঁরই হাতে সৃষ্টি অমর কাব্য-নাটক-গান।
সব্যসাচী লেখক তিনি লিখতে পারেন অতি,
যেদিকে হাত দিতেন তাতে অবাধ ছিল গতি।
জীবন-জগৎ-প্রকৃতিকে খুব বেসেছেন ভালো,
সাহিত্যেরই সকল শাখায় ছড়িয়ে দিতেন আলো।
তাঁর কলমের টানে আনেন সবার কথা তুলে,
রাজা-প্রজা মজুর-চাষি যাননি কারোই ভুলে।
সুবক্তা ও অভিনেতা চিত্রকরও তিনি,
নোবেলজয়ী কবিগুরু, বিশ্বে সবাই চিনি।