নিজস্ব প্রতিনিধি, ফটিকছড়ি »
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েছেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। তিনি ফটিকছড়ির সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান।
গতকাল শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভায় চট্টগ্রামের সঙ্গে বাকি ৬০ জেলা পরিষদের প্রার্থীও চূড়ান্ত করা হয়।
এটিএম পেয়ারুল ইসলাম ছাড়াও ক্ষমতাসীন দল থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কালাম চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যাপক মো. মাঈনুদ্দিন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি লায়ন শামসুল হক, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. ইদ্রিস, রূপালী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবু সুফিয়ান, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা মঞ্চের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুছ, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের সাবেক মহাসচিব আবুল হাশেম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাঈদ, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ রবি, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দাশ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা মো. ওসমান গণি চৌধুরী।
এর আগে ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। জেলা পরিষদের নির্বাচনের আগে তিনি জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৭ অক্টোবর। ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল, বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময় ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর। ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করা হবে। ২৫ সেপ্টেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ২৬ সেপ্টেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
জানা যায়, ১৯৭৩ সালে মাইজভা-ার আহমদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-সংসদের নির্বাচিত জিএস হিসেবে রাজনীতিতে পদার্পণ এটিএম পেয়ারুল ইসলামের। ১৯৭৯ সালে নাজিরহাট কলেজের ছাত্র-সংসদের জিএস নির্বাচিত হন। একই বছরে (১৯৭৯-৮০) ফটিকছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরের বছরে (১৯৮১-৮২) চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির পদ পান। ১৯৮৭-৯০ সালে ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্বাচিত গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক। ১৯৮৯-৯০ সালে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। ১৯৯০ সালে ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯৩-৯৪ সালে ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন পেয়ারুল ইসলাম। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ফটিকছড়ি থেকে নৌকার হয়ে নির্বাচনে লড়ে যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর কাছে হেরে যান।
এদিকে, এটিএম পেয়ারুল ইসলামকে নৌকা প্রতীক পাওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান জেলা প্রশাসক এম এ সালাম