সুপ্রভাত ডেস্ক »
চীনে করোনা সংক্রমণ তীব্র রূপ ধারণ করেছে। দেশটিতে মঙ্গলবার পাঁচ হাজার ২৮০ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আগের দিনের তুলনায় এ সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি।
দেশটিতে করোনা মহামারি শুরুর পর এটি সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ।
ন্যাশনাল হেলথ কমিশন বলছে, উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় জিলিন প্রদেশে করোনার সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হচ্ছে। এখানে তিন হাজারেরও বেশি লোক করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় দেশটির অন্তত ১১টি শহর ও জেলায় লকডাউন জারি করা হয়েছে।
বেইজিং ও সাংহাইয়ে মঙ্গলবার কয়েক ডজন অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
এ ছাড়া চীনের প্রযুক্তি কেন্দ্র শেনঝেনে পুরো লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সাংহাইসহ অন্যান্য বড়ো বড়ো শহরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
করোনার ওমিক্রন ধরন ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলীয় শেনঝেনে রোববার লকডাউনের ঘোষণা দেয়া হয়।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলছেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আরো কঠোর পদক্ষেপ আসতে পারে।
চীনে অতি সংক্রামক ওমিক্রন ধরনের কারনে দেশটির করোনা বিষয়ক ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
এ দিকে চীনের সবচেয়ে জনবহুল সাংহাই শহরের কিছু অঞ্চলের আবাসিক ও অফিস এলাকা সিল করে রাখা হয়েছে। শহর কর্তৃপক্ষ পুরোপুরি লকডাউন এড়ানোর চেষ্টা করছে।
চীনের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় জিলিন প্রদেশে নতুন করে আরো এক হাজার করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় কর্তৃপক্ষ সোমবার নিষেধাজ্ঞা কঠোর করেছে। পুলিশের অনুমতি ছাড়া
বাসিন্দাদের শহর ত্যাগে বাধা রয়েছে। মার্চের প্রথম থেকেই এই প্রদেশের অন্তত পাঁচটি শহরে লকডাউন জারি রয়েছে।
এ দিকে দেশটিতে সম্প্রতি করোনা মোকাবেলায় সঠিক পদক্ষেপ না নেয়ায় তিনটি প্রদেশের অন্তত ২৬ কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের নভেম্বরে করোনার প্রথম প্রাদুর্ভাবের পর সাময়িক লকডাউন, গণপরীক্ষা ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করেছিল। কিন্তু সর্বশেষ সংক্রমণ প্রতিরোধে এ সব পদক্ষেপ যথেষ্ট নয় বলে মনে করা হচ্ছে।
সুত্র : বাসস