করোনা মহামারিতে মানবিক চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে চট্টগ্রামবাসীর পাশে দাঁড়াতে বন্দর, কাস্টমসসহ কর্পোরেট শিল্পগ্রুপের নিকট উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।
তিনি আজ ৭ জুন (রোববার) সকাল ১১টায় প্রেস ক্লাবের সামনে নাগরিক উদ্যোগ আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় সুজন বলেন, চট্টগ্রামের ভৌগলিক অবস্থানগত সুযোগ-সুবিধার উপর গড়ে উঠেছে বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃদপি- চট্টগ্রাম বন্দর। বাংলাদেশ সম্পদের সমৃদ্ধির উচ্চশিখরে আরোহণ করেছে চট্টগ্রাম বন্দরের হাত ধরেই। এই বন্দরের আয় দিয়েই দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অবকাঠামো গড়ে উঠেছে। বন্দরের উন্নতি মানেই পুরো দেশের উন্নতি। তাই চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নে গর্ববোধ করে চট্টগ্রামের আপামর মানুষ। এছাড়া চট্টগ্রাম কাস্টমসও দেশের উন্নতির পিছনে অর্থনৈতিক যোগান দেওয়া একটি প্রতিষ্ঠান। দেশের সিংহভাগ আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম সম্পন্ন হয় চট্টগ্রাম কাস্টমসেই। তাই চট্টগ্রাম বন্দরের পাশাপশি কাস্টম হাউসও দেশের অর্থনীতিতে প্রতিনিয়ত অর্থের যোগান দিয়ে দেশকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিতে প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ভৌগলিক অবস্থানের কারণে আমাদের বাপ-দাদার ভিটেমাটি অধিগ্রহণ করে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ছোট বড় শিল্প মিল কারখানা। যারা চট্টগ্রামে তাদের শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিচালনা করে কোটি কোটি টাকা আয় করছে। চট্টগ্রামের আয় দিয়ে তারা দেশের অন্যান্য জেলায়ও তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ করেছে। এমনকি দেশের বাহিরেও অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা-বাণিজ্য বিস্তৃত। তাদের এ উন্নতি মানেই চট্টগ্রামবাসীর উন্নতি এ কথা মনে প্রাণে বিশ্বাস করতাম আমরা। অথচ বর্তমান পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য সেবায় তাদের নির্লিপ্ততা আমাদেরকে দারুণভাবে হতাশ করেছে। এক সময় যে চট্টগ্রামবাসী গর্ব করতো চট্টগ্রামের বড়ো বড়ো কর্পোরেট হাউসগুলো নগরীর বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পসহ সামগ্রিক উন্নয়নে এগিয়ে আসবে সেই চট্টগ্রামবাসীই এখন ঐসব শিল্পগ্রুপের অমানবিক নিস্পৃহতায় ক্ষোভে পুড়ছে। আজ চট্টগ্রামের চিকিৎসা ব্যবস্থার মুমূর্ষু অবস্থায় তারা নিশ্চুপ। তাদের নির্লিপ্ততা চট্টগ্রামবাসীর হৃদয়ে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করছে।
চট্টগ্রামের সকল শিল্পগ্রুপকে প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজ উদ্যোগে চট্টগ্রামবাসীকে এ মহামারী থেকে বাঁচানোর প্রয়াস গ্রহণ করার উদাত্ত আহবান জানান তিনি। সুজন আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী সবসময়ই আপনাদেরকে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুন্দর পরিবেশ উপহার দিয়েছেন, সহযোগিতা দিয়েছেন তাই আপনাদেরও উচিত এ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ানো।
এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরে কর্মরত সকল ক্যাটাগরির শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য বন্দরের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় করোনা পরীক্ষা করানোর জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট উদাত্ত আহবান জানান তিনি।
তাছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের আশেপাশের অধিবাসীর জন্য বন্দর হাসপাতালে বিশেষ স্বাস্থ্য সেবা চালু করা, বন্দর হাসপাতালে অতিসত্বর করোনা ইউনিট চালু এবং চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে করোনা চিকিৎসায় সম্পূর্ণ ব্যয়ভার গ্রহণ করার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
নাগরিক উদ্যোগের সদস্য সচিব হাজী মো. হোসনের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নিজাম উদ্দিন, শফিউল আজম বাহার, নূরল কবির, মোরশেদ আলম, মো. শাহজাহান, মো. বাবলু, সিরাজদ্দৌল্লা নিপু, জাহাঙ্গীর আলম, মো. নাছির উদ্দিন, রকিবুল আলম সাজ্জী, রাজীব হাসান রাজন, ইরফানুল আলম জিকু, শফিকুল আলম পারভেজ, কপিল কর, মো. আলী মিঠু, সাইফুল্লাহ সাইফ, সাজ্জাদ হোসেন, ফরহানুল হক রাকিব, উৎপল দত্ত, সালাউদ্দিন জিকু, জয়জিৎ চৌধুরী জয়, গিয়াস উদ্দিন, হাসান মুরাদ, রফিকুল ইসলাম, শহীদ হোসেন, ইমাম হোসেন সাগর, সাইফুল ইসলাম, মো. হৃদয়, মো. মাসুদ, অংকন শীল, মো. আরিফ, মো. নাঈম, মো. জুয়েল প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর