চালু হলো মার্কেট ও শপিংমল

কঠোর লকডাউনের ঘোষণায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক <
লকডাউনে টানা ৪ দিন বন্ধের পর সরকারি ঘোষণায় গতকাল থেকে খোলা হয়েছে নগরের মার্কেট ও শপিংমল। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে খোলা রাখা হবে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত। কিন্তু বিকাল গড়াতেই ১৪ এপ্রিল হতে আবারও কঠোর লকডাউনের নতুন ঘোষণা আসে।
গতকাল শুক্রবার নগরের বেশিরভাগ শপিংমল খোলা থাকলেও এতে ছিল না ক্রেতাদের আনাগোনা।
গত ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারিভাবে লকডাউন ঘোষণা করা হলেও বিভিন্ন মার্কেটের মালিক-কর্মচারীদের বিক্ষোভে ৯ থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ নির্দেশনা মোতাবেক গতকাল নগরের বেশিরভাগ মার্কেট ও শপিংমল খোলা হয়েছে। তেমন কোনো ক্রেতা না থাকলেও খোলা রাখতে পারায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, টেরিবাজারে দোকানিরা অলস সময় কাটাচ্ছেন। সাধারণত বছরের এ সময়ে ঈদের কেনাকাটায় মানুষের ভিড় লেগে থাকে এখানে। বিকালে কোনো কোনো দোকানে ক্রেতা থাকলেও ভীড় ছিল না মার্কেটের বেশিরভাগ অংশে। এছাড়া টেরিবাজারের অনেক দোকানে স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি।
অন্যদিকে রেয়াজউদ্দিন বাজার, পৌর জহুর হকার্স মার্কেট, চকবাজারের মতি টাওয়ার, কেয়ারি ইলিশিয়াম মার্কেট, গুলজার টাওয়ার ছিল ক্রেতাশূন্য। এখানেও বেশিরভাগ দোকানিদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি।
শপিং করতে আসা এ্যানি রানী সুপ্রভাতকে বলেন, ‘প্রতি বছর পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে কিছু কেনাকাটা করি। এ বছরও কিছু কেনাকাটা করতে আসলাম। মার্কেট ফাঁকা থাকায় ভালো লাগছে।’
টেরিবাজারের এক দোকান কর্মচারী বলেন, ‘দোকানে ক্রেতা নেই বললেই চলে। এর ফলে মালিক আমাদের বেতনও ঠিকমতো দিতে পারছেন না।’
সকালে দোকান খুলতেই বিকেলে আবার লকডাউনের ঘোষণায় ক্ষুব্ধ টেরিবাজারের ব্যবসায়ী দিদারুল আলম সুপ্রভাতকে বলেন, ‘ক্রেতারা কি করে মার্কেটে আসবেন? সকালে দোকান খুলে বসতে না বসতেই দুপুরে নতুন লকডাউন। গত বছর লকডাউনে ব্যবসায়ীদের অবস্থা খারাপ হয়েছে। তার উপর এখন ব্যবসার সময় এসে লকডাউন দেওয়া বিরক্তিকর। তিনি সরকারের কাছে আর্জি জানান যেন সীমিত সময়ের জন্য দোকান খোলা রাখার নির্দেশনা দেয়।’
রেয়াজউদ্দিন বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রিয়াদ বলেন, ‘চার দিন পর দোকান খুলেছি, ভেবেছিলাম ক্রেতা বাড়বে। সকাল থেকে বসেই সময় কাটাচ্ছি।’