সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
স্যার ক্লাইড ওয়ালকট এবং স্যার ফ্র্যাঙ্ক ওরেল আগেই চলে গিয়েছিলেন। থ্রি ডব্লিউ-র প্রহরী হিসাবে তিনিই এতদিন দায়িত্ব পালন করছিলেন যেন। ক্রিকেটে বিরাট এক শূন্যতা তৈরি করে এবার তিনিও চলে গেলেন। স্যার এভারটন উইকস চলে গেলেন বাকি দুই বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে। ৯৫ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন কিংবদন্তি ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান। বার্বাডোজে নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এভারটন উইকস। ইহজগতে থ্রি ডব্লিউ-র কেউ আর রইলেন না বটে! তবে ক্রিকেটের প্রবাহ যতদিন চলবে থ্রি ডব্লিউ-র লেগাসি বইতে থাকবে অমর জলধারা সঙ্গে নিয়ে।
স্যার ক্লাইড ওয়ালকট, স্যার ফ্র্যাংক ওরেল এবং স্যার এভারটন উইকসের। তিনজনের জন্মই বার্বাডোজে। ১৯৪৮ সালে তিন সপ্তাহের ব্যবধানে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের ‘থ্রি ডব্লিউ’-এর। কাকতালীয় হলেও তিন তারকাকে যেন এক অদৃশ্য সূত্র গেঁথে রেখেছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অনেকে তো বলতেন, তিনজনের ধাত্রী মা-ও একই। আর ক্রিকেটবিশ্ব তো ওয়ালকট, ওরেল এবং উইকসের তা-ব দেখেছে। ক্যারিবীয়দের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ অধিনায়ক হয়েছিলেন ওরেল। আইসিসির প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছিলেন ওয়ালকট।
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের অনেকে তর্কের খাতিরে বলেন, এভারটন উইকস ছিলেন থ্রি ডব্লিউ-র সেরা ব্যাটসম্যান। ১৯৪৮ সালে অভিষেকের পর মার্চ থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে টানা পাঁচটি টেস্ট সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। ষষ্ঠ সেঞ্চুরিও করে ফেলতেন যদি না আম্পায়ার ভুল করে তাকে ৯০ রানের মাথায় আউট দিতেন! মাত্র ১২ ইনিংস খেলে কেরিয়ারের এক হাজার রান পূর্ণ করেছিলেন তিনি। যা এখনো রেকর্ড। ৪৮ টেস্টে ১৫ সেঞ্চুরি ও ১৯ হাফসেঞ্চুরিতে ৫৮.৬১ গড়ে ৪৪৫৫ রান। উইকসের কেরিয়ার ঈর্ষণীয় বটে! ১৯৫১ সালে উইজডেনের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মান অর্জন করেন উইকস। এর পর ১৯৯৫ সালে ক্রিকেটে আসামান্য অবদানের জন্য নাইটহুড উপাধি লাভ করেন। নামের আগে যোগ হয় ‘স্যার’। এক জীবনে একজন মানুষ আর কী কী করতে পারেন!
খবর : জিনিউজ’র।