বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিপিএটিসি’র প্রশিক্ষণ সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের ২০ তলাবিশিষ্ট ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন’-এর নকশা এবং ‘ময়মনসিংহ বিভাগীয় সদর দফতর স্থাপনের জন্য প্রস্তাবিত প্ল্যানের ভূমি ব্যবহার’ পরিকল্পনার উপস্থাপনা অবলোকন করতে গিয়ে তিনি এই নির্দেশনা দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের দেশটা স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। এই দেশটাকে আমরা সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে চাই এবং আমরা স্বাধীন দেশ ও স্বাধীন জাতি। বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা চলতে চাই ‘ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতার যে স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ উন্নত ও সমৃদ্ধ হোক— বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে চলবে; আমরা সেভাবেই বাংলাদেশটাকে গড়ে তুলতে চাই। আজ বঙ্গবন্ধু নেই। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এইটুকু বলবো— তাঁর আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে হবে। জাতির পিতার সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতেই বাংলাদেশকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলা, দারিদ্র্যমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত, উন্নত, শিক্ষিত, আধুনিক বিজ্ঞান জ্ঞানসম্পন্ন একটা জাতি হিসেবে বাঙালি জাতিকে আমরা গড়ে তুলবো।’
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে জরাজীর্ণ স্থাপনাগুলোর নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ দিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের অনেক কাজ স্থবির, কিন্তু আমরা এই কাজগুলো যদি শুরু করতে পারি, তাহলে শেষ করতেও পারি খুব তাড়াতাড়ি। আর এর জন্য যা অর্থসংকুলান, সরকার থেকেই আমরা করে দেবো। আমি দিতেও চাই। কিন্তু কাজগুলো আমি চাচ্ছি একটু তাড়াতাড়ি এগিয়ে যাক।’
তিনি বলেন, ‘এখন যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ, সবই বন্ধ। তার মানে এটাই হচ্ছে সব থেকে ভালো সময় কাজ করবার।’ নিরিবিলি কাজগুলো করা যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ নির্মাণকাজগুলো তদারকির জন্য প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
সভায় পাবলিক লাইব্রেরি নতুন করে তৈরি করার নির্দেশনা প্রদান করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের পাবলিক লাইব্রেরি অনেক পুরনো। অডিটোরিয়াম থেকে শুরু করে সবকিছুই জরাজীর্ণ অবস্থা, ন্যাশনাল মিউজিয়ামটাও পুরনো হয়ে গেছে। মিউজিয়ামটা ঠিকই থাকবে, যেভাবে আছে ওটা থাকুক, কিন্তু পুকুরটাকে সুন্দর করে রাখা দরকার। পুকুরটার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই আমাদের যে পাবলিক লাইব্রেরি তার একটা ল্যান্ডস্কেপ করে সেখানেও খুব সুন্দরভাবে একটা মডার্ন পাবলিক লাইব্রেরি, অডিটোরিয়াম এবং আমাদের সাইবার ক্যাফে—সবকিছু মিলিয়ে ওটাকে আরও সুন্দরভাবে, নতুনভাবে তৈরি করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘অনেকগুলোর তো প্ল্যান করাই আছে। মেডিক্যাল কলেজটা করা আছে, কিন্তু আবার টিএসসিটা করা হয়নি। টিএসসি যেহেতু ঢাকা ইউনিভার্সিটির, আমাদের ইউনিভার্সিটি, আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও এই ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছিলেন। আমি নিজে ওখানের ছাত্রী ছিলাম। কাজেই ইউনিভার্সিটির প্রতি আমাদের সবসময় একটা আলাদা অনুভূতি রয়েছে। এই জায়গাটা (টিএসসি) আমি চাচ্ছি একটু সুন্দর করে করা।’