পত্রিকান্তরে প্রকাশ তিন বছরের বেশি সময় ধরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিভাগ চলছে একটি ক্যাথল্যাব দিয়ে। একটি ক্যাথল্যাবে দুই শতাধিক রোগীর বিভাগের এনজিওগ্রাম, স্ট্যান্টিংসহ গুরুত্বপূর্ণ সেবা দেওয়া কঠিন। ইতিমধ্যে ক্যাথল্যাবটি সক্ষমতার অতিরিক্ত ব্যবহার করা হয়ে গেছে। এটি কোনো কারণে বিকল হলে বন্ধ থাকে সেবা। জানা গেছে,
এই অবস্থায় নতুন একটি ক্যাথল্যাব বরাদ্দ হলেও আড়াই মাসেও সেটা চট্টগ্রাম পৌঁছেনি, যার কারণে চমেক হৃদ্রোগ বিভাগের রোগীদের ১৫ দিন থেকে এক মাস পর্যন্ত ক্যাথল্যাব সেবার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। এ জন্য রোগীর জটিলতাও বাড়ছে।
চমেক হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিভাগে বর্তমানে ১৬০ শয্যার বিপরীতে ২৫০ জন পর্যন্ত রোগী থাকে। একটিমাত্র ক্যাথল্যাব দিয়ে দিনে গড়ে ৮টি এনজিওগ্রাম, দু–তিনটি রিং পরানো হয়। এ ছাড়া সপ্তাহে এক দুটি পেস মেকার লাগানো হয়।
২০২১ সালে স্থাপিত বর্তমান ক্যাথল্যাবটি গত বছর জানুয়ারিতে একবার বিকল হয়েছিল। সেবার প্রায় তিন সপ্তাহ বন্ধ ছিল কার্যক্রম। তখন বাইরে দৌড়াতে হয়েছিল রোগীদের। এখনো হাসপাতালে অপেক্ষায় না থেকে অনেক রোগীকে বেসরকারি হাসপাতালের দ্বারস্থ হতে হয়। তবে গরিব রোগীদের জন্য এটা কঠিন।
চমেক হাসপাতালে এনজিওগ্রাম করতে তিন সপ্তাহ অপেক্ষা করতে বলার পর জুন মাসে জসিম উদ্দিন নামে এক রোগী বেসরকারি একটি হাসপাতাল থেকে সেবাটি নেন। তাঁর খরচ পড়ে ২২ হাজার টাকা। চমেক হাসপাতালে এনজিওগ্রামে খরচ ছয় থেকে সাত হাজার টাকা।
ক্যাথল্যাব সব সময় খালি না থাকায় হার্টঅ্যাটাকের রোগীদের জরুরি সেবা দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না বলে চিকিৎসকেরা জানান। যদি হার্টঅ্যাটাকের রোগীদের সঙ্গে সঙ্গে ক্যাথল্যাবে নিয়ে রিং পরানো যায় তাহলে ক্ষতি অনেক কম হয় বলে জানান সহযোগী অধ্যাপক নূর উদ্দিন তারেক।
বর্তমান ক্যাথল্যাবটির মেরামত মেয়াদ ২০২৭ পর্যন্ত রয়েছে। কিন্তু এটি এখনই পর্যাপ্ত সেবা দিয়ে ফেলেছে বলে চিকিৎসকেরা জানান। এর আগে ২০২২ সালে একটি ক্যাথল্যাব নষ্ট হয়। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মেরামতযোগ্য সময় পার হয়ে যাওয়ায় ওই ক্যাথল্যাব মেরামত করতে এখন তিন কোটি টাকার মতো দরকার। মেরামতে না গিয়ে বিকল্প হিসেবে মানিকগঞ্জের অব্যবহৃত ক্যাথল্যাব আনার সিদ্ধান্ত হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব মো. শাহাদত হোসেন কবির স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, মানিকগঞ্জ হাসপাতালের দুটি ক্যাথল্যাবের মধ্যে একটি চমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা প্রয়োজন। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এ বিষয়ে ন্যাশনাল ইলেকট্রো-মেডিকেল ইকুইপমেন্ট মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার (নিমিউ অ্যান্ড টিসি) চিফ টেকনিক্যাল ম্যানেজারকে কারিগরি সহায়তা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু এত দিনেও কারিগরি কাজ শেষ হয়নি। নিমিউ অ্যান্ড টিসির কারিগরি দলের চমেক হৃদ্রোগ বিভাগ পরিদর্শনের কথা রয়েছে। গত সপ্তাহে আসার কথা থাকলেও তাঁরা আসেনি। এ ছাড়া অন্যান্য দাপ্তরিক কাজও শেষ হয়নি এখনো।
হৃদরোগ বিভাগের৷ মতো একটি বিভাগে যখন ক্যাথল্যাবের মতো জরুরি একটি মেশিন থাকে মা তখন এরচেয়ে দুঃখজনক সংবাদ কী হতে পারে। এমনিতেই চট্টগ্রামে চিকিৎসার ক্ষেত্রে গভীর সংকট আছে। আমরা আশা করব, সরকার বিষযটি নিয়ে দ্রুত একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে।
এই অবস্থায় নতুন একটি ক্যাথল্যাব বরাদ্দ হলেও আড়াই মাসেও সেটা চট্টগ্রাম পৌঁছেনি, যার কারণে চমেক হৃদ্রোগ বিভাগের রোগীদের ১৫ দিন থেকে এক মাস পর্যন্ত ক্যাথল্যাব সেবার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। এ জন্য রোগীর জটিলতাও বাড়ছে।
চমেক হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিভাগে বর্তমানে ১৬০ শয্যার বিপরীতে ২৫০ জন পর্যন্ত রোগী থাকে। একটিমাত্র ক্যাথল্যাব দিয়ে দিনে গড়ে ৮টি এনজিওগ্রাম, দু–তিনটি রিং পরানো হয়। এ ছাড়া সপ্তাহে এক দুটি পেস মেকার লাগানো হয়।
২০২১ সালে স্থাপিত বর্তমান ক্যাথল্যাবটি গত বছর জানুয়ারিতে একবার বিকল হয়েছিল। সেবার প্রায় তিন সপ্তাহ বন্ধ ছিল কার্যক্রম। তখন বাইরে দৌড়াতে হয়েছিল রোগীদের। এখনো হাসপাতালে অপেক্ষায় না থেকে অনেক রোগীকে বেসরকারি হাসপাতালের দ্বারস্থ হতে হয়। তবে গরিব রোগীদের জন্য এটা কঠিন।
চমেক হাসপাতালে এনজিওগ্রাম করতে তিন সপ্তাহ অপেক্ষা করতে বলার পর জুন মাসে জসিম উদ্দিন নামে এক রোগী বেসরকারি একটি হাসপাতাল থেকে সেবাটি নেন। তাঁর খরচ পড়ে ২২ হাজার টাকা। চমেক হাসপাতালে এনজিওগ্রামে খরচ ছয় থেকে সাত হাজার টাকা।
ক্যাথল্যাব সব সময় খালি না থাকায় হার্টঅ্যাটাকের রোগীদের জরুরি সেবা দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না বলে চিকিৎসকেরা জানান। যদি হার্টঅ্যাটাকের রোগীদের সঙ্গে সঙ্গে ক্যাথল্যাবে নিয়ে রিং পরানো যায় তাহলে ক্ষতি অনেক কম হয় বলে জানান সহযোগী অধ্যাপক নূর উদ্দিন তারেক।
বর্তমান ক্যাথল্যাবটির মেরামত মেয়াদ ২০২৭ পর্যন্ত রয়েছে। কিন্তু এটি এখনই পর্যাপ্ত সেবা দিয়ে ফেলেছে বলে চিকিৎসকেরা জানান। এর আগে ২০২২ সালে একটি ক্যাথল্যাব নষ্ট হয়। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মেরামতযোগ্য সময় পার হয়ে যাওয়ায় ওই ক্যাথল্যাব মেরামত করতে এখন তিন কোটি টাকার মতো দরকার। মেরামতে না গিয়ে বিকল্প হিসেবে মানিকগঞ্জের অব্যবহৃত ক্যাথল্যাব আনার সিদ্ধান্ত হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব মো. শাহাদত হোসেন কবির স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, মানিকগঞ্জ হাসপাতালের দুটি ক্যাথল্যাবের মধ্যে একটি চমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা প্রয়োজন। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এ বিষয়ে ন্যাশনাল ইলেকট্রো-মেডিকেল ইকুইপমেন্ট মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার (নিমিউ অ্যান্ড টিসি) চিফ টেকনিক্যাল ম্যানেজারকে কারিগরি সহায়তা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু এত দিনেও কারিগরি কাজ শেষ হয়নি। নিমিউ অ্যান্ড টিসির কারিগরি দলের চমেক হৃদ্রোগ বিভাগ পরিদর্শনের কথা রয়েছে। গত সপ্তাহে আসার কথা থাকলেও তাঁরা আসেনি। এ ছাড়া অন্যান্য দাপ্তরিক কাজও শেষ হয়নি এখনো।
হৃদরোগ বিভাগের৷ মতো একটি বিভাগে যখন ক্যাথল্যাবের মতো জরুরি একটি মেশিন থাকে মা তখন এরচেয়ে দুঃখজনক সংবাদ কী হতে পারে। এমনিতেই চট্টগ্রামে চিকিৎসার ক্ষেত্রে গভীর সংকট আছে। আমরা আশা করব, সরকার বিষযটি নিয়ে দ্রুত একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে।