চবি সংবাদদাতা :
করোনাভাইরাসের কারণে আটকে থাকা বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ। রোববার (১৫ নভেম্বর) একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান।
এর আগে বিভিন্ন বিভাগের আটকে থাকা পরীক্ষা শেষ করার দাবিতে বেশ কয়েকবার মানববন্ধন ও স্মারকলিপি জমা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
১৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিল সভা সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির স্বপক্ষে থাকবে বলে আশা করেছেন পরীক্ষার দাবিতে আন্দোলনরত আইন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফোরকানুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘গত মার্চ মাসের ১৯ তারিখ অনার্স ফাইনাল ইয়ারের লাস্ট পরীক্ষা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে আট মাস ধরে একটা কোর্সের পরীক্ষা বাকি থাকতে আটকে আছি। চিন্তা করছি কোর্টে প্রাকটিস করব। কিন্তু সেই সুযোগটাও হচ্ছে না। কারণ অনার্স ফাইনাল হয়নি। তবে দীর্ঘদিন পর কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। আশা করছি প্রশাসন আটকে থাকা এক-দুইটি পরীক্ষা নিয়ে আমাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান বলেন, ‘আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো নেয়ার বিষয়ে প্রথম থেকে সদিচ্ছা ছিল। কিন্তু একাডেমিক কাউন্সিলের সভা ছাড়া এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না। তাই ১৫ নভেম্বর একাডেমিক কাউন্সিল সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে পরীক্ষা-ক্লাসের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে এক্ষেত্রে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর চূড়ান্ত পরীক্ষাগুলো অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্যান্য পরীক্ষার দিকে এগুবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, করোনা সংকটে সাধারণ ছুটি ঘোষণার আগে বিভিন্ন বিভাগের পুরোদমে পরীক্ষা চলমান ছিল। এর মধ্যে বেশিরভাগ বিভাগ সম্পূর্ণ পরীক্ষা শেষ করলেও কিছু বিভাগ অর্ধেক পরীক্ষা শেষ করে আটকে যায়। এসব বিভাগের মধ্যে আছে অর্থনীতি, সমাজতত্ত্ব ও আইন বিভাগের ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা, রাজনীতি বিভাগের ৩য় ও ৪র্থ বর্ষ, লোক প্রশাসন ও সংস্কৃত বিভাগের মাস্টার্স, হিসাব বিজ্ঞান ও মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের দুইটি ব্যাচের ইন্টারশিপের মৌখিক পরীক্ষা, ফার্মেসি বিভাগের ৪র্থ বর্ষের তিনটি ব্যবহারিক পরীক্ষা, গণিত বিভাগের ৩য় বর্ষ ও দ্বিতীয় বর্ষের ব্যবহারিক, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের ২য় বর্ষের মৌখিক ও ব্যবহারিক, ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের অষ্টম সেমিস্টার, ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সের ২য় ও ৩য় বর্ষ, ওশোনোগ্রাফি বিভাগের ৩য় ও ৪র্থ বর্ষ ও ফিশারিজ বিভাগের ২য় বর্ষের পরীক্ষা অর্ধেকের মধ্যে আটকে আছে। এর মধ্যে বেশি বিপাকে পড়ছেন স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা। যারা শুধুমাত্র একটি বা দুটি পরীক্ষা বাকি থাকায় বিভিন্ন চাকুরীর পরীক্ষায় আবেদন করতে পারছেন না।
এ মুহূর্তের সংবাদ