নিজস্ব প্রতিবেদক »
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে বরখাস্ত করা হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) ঝুলন কুমার দাশকে। একই দিন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী হোসেন আওরঙ্গজেব পদত্যাগ করেছেন।
বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করে এই দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা। নগরের টাইগারপাসে সিটি করপোরেশনের অস্থায়ী প্রধান কার্যালয়ে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান নেতারা।
তাঁরা সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন। এ সময় সিটি করপোরেশনের সচিব আশরাফুল আমিন ও প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমী উপস্থিত ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবি ও অভিযোগ তদন্ত করার জন্য তিন সদস্যর কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিটি করপোরেশন। কমিটির প্রধান করা হয়েছে সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমীকে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা অভিযোগ করেন, আন্দোলন চলাকালে ৩ থেকে ৫ আগস্ট চট্টগ্রাম নগরের সব সড়কবাতি বন্ধ রাখা হয়। সড়কবাতি বন্ধ রেখে রাতের আঁধারে ছাত্র-জনতার ওপর নির্মমভাবে অত্যাচার-নির্যাতন চালানো হয়। গুলিও করা হয়। এতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) ঝুলন কুমার দাশের নির্দেশে সড়কবাতি বন্ধ করা হয়। এ জন্য তাঁকে বরখাস্ত করতে হবে।
এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী হোসেন আওরঙ্গজেব আন্দোলন দমানোর জন্য ছাত্রলীগকে টাকা ও অস্ত্র দিয়েছেন। বহদ্দারহাটে মেয়রের বাড়ির সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী নিহত হয়েছেন। এ জন্য তাঁকে চাকরিচ্যুত করার দাবি জানানো হয়।
তাঁদের দাবি মেনে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশকে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত এবং হোসেন আওরঙ্গজেবের পদত্যাগ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।