সুপ্রভাত ডেস্ক »
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের কাছে একটি শপিং মলসহ হোটেল কাম গেস্ট হাউজ নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং বেসরকারি অংশীদার এপিক প্রপার্টিজ লিমিটেডের মধ্যে রেলভবনে একটি চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তিতে সই করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষে ফোকাল পারসন মো. আহসান জাবির। অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) এবং এপিক প্রপার্টিজ লিমিটেডের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. আনোয়ার হোসেন।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) চুক্তি সই অনুষ্ঠানে রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বলেন, ‘সরকারের বর্তমান নীতি অনুযায়ী, উন্নয়ন কার্যক্রমের ৩০ শতাংশ পিপিপি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আমাদের ১২টি প্রকল্পের মধ্যে ইতোমধ্যেই দুটির চুক্তি সই করা হলো।’
রেলওয়ের বর্তমান কার্যক্রম সম্পর্কে মন্ত্রী উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী রেল খাতের উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তিনি আলাদা মন্ত্রণালয় করে দিয়েছেন। বর্তমানে রেলওয়ের উন্নয়নে বহুমুখী কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘মিটারগেজ ও ব্রডগেজ লাইনকে একমুখী ব্যবস্থা করে সারা দেশকে ব্রডগেজে রূপান্তর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সিঙ্গেল লাইনকে ডাবল লাইনে রূপান্তর করা হবে। বর্তমানে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প। যমুনা নদীর ওপর দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু রেল সেতু নির্মাণ, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইন পর্যায়ক্রমে ডুয়েলগেজে রূপান্তর করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘একটি দেশের উন্নয়নের স্বার্থে রেলওয়ের উন্নয়ন প্রয়োজন। যে দেশ যত উন্নত, তার রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা তত উন্নত। উন্নত দেশের স্টেশনগুলোর পাশে শপিং মল করা হয়। আমাদের দেশের রেল ব্যবস্থাকেও একইভাবে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমাদের অনেক জমি আছে স্টেশনগুলোর পাশে। শপিং মল করে সেখান থেকে অর্জিত আয় দিয়ে আমরা একসময় রেলওয়েকে স্বয়ংসম্পূর্ণ ও লাভজনক করতে পারবো বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন রোড সংলগ্ন জমিতে ডিজাইন বিল্ড ফাইন্যান্স অপারেট অ্যান্ড ট্রান্সফার পদ্ধতিতে প্রায় ১৫ তলার একটি ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে চুক্তি সই অনুষ্ঠিত হলো। এখানে হোটেল, শপিং মল, অফিস, সিনেপ্লেক্স, কনভেনশন সেন্টার, পারিবারিক বিনোদন কেন্দ্র এবং অ্যাপার্টমেন্ট থাকবে। এটির সম্ভাব্য ব্যয় হবে ৪৫ কোটি টাকা। নির্মাণকাল-সহ ৪০ বছর পর স্থাপনাটি রেলওয়ের শতভাগ মালিকানায় পরিচালিত হবে। প্রকল্পের সকল ব্যয় বেসরকারি অংশীদার বহন করবে।
এ চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী সুলতানা আফরোজ। বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এতে সভাপতিত্ব করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর।
সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন