শফিউল আলম, রাউজান »
চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কের রাউজানের অংশের কয়েক কিলোমিটার জুড়ে সড়কের মাঝখানের আইল্যান্ডের খালি অংশে চাষ করা হয়েছে নানা জাতের শীতকালীন শাকসবজি। সবুজ শাকসবজির রোপণের কারণে একদিকে যেমন বেড়েছে এই মহাসড়কের ব্যাপক সৌন্দর্য, অন্যদিকে সবজি চাষে নিজেদের চাহিদা মেটাতে পারছেন এলাকার কৃষক। অনেকে সখ করেও সবজির চাষ করছেন। মহাসড়কে এ যেন সবুজের হাসি ফুটেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হালদা নদীর সর্তারঘাট থেকে রাউজান-ঢালার মুখ পর্যন্ত চট্টগ্রাম রাঙামাটি মহাসড়কে আইল্যান্ডের মাঝখানে শাকসবজি চাষ করা হয়েছে। রয়েছে দৃষ্টিনন্দন গাঁদা ফুলের বাগানও। মহাসড়কের পাশে অবস্থিত এলাকার কৃষক ও সাধারণ মানুষ এখানে মুলা, বেগুন, মরিচ, লালশাক, সিলেটি বেগুন, শিম, ফরাস বিচি, আলু, ধনেপাতাসহ শীতকালীন বিভিন্ন জাতের সবজির চাষাবাদ করেছেন এলাকার মানুষ। রংবেরঙের এসব শাকসবজি মহাসড়কের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ। সড়কের আইল্যান্ডে সবজির চাষ করে এখানকার মানুষ একদিকে যেমন সংসারের বিষমুক্ত সবজির চাহিদা পূরণ করছেন, অন্যদিকে এখান থেকে পাওয়া অতিরিক্ত সবজি স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন।
স্থানীয় মো: আবু কালাম বলেন, ‘সড়কের মাঝখানের খালি অংশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে আমি শীতকালীন সবজির আবাদ করেছি। এখানে সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাকিগুলো বাজারে বিক্রি করছি।’ এ ব্যাপারে রাউজান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুম কবির বলেন, ‘রাউজান পৌরসভা ও কৃষি বিভাগের উদ্যোগে এই কাজটি করা হয়েছে। মহাসড়কের ডিভাইডারে খালি অংশজুড়ে বিভিন্ন জাতের শীতকালীন শাকসবজির চাষ করছে এলাকার কৃষক ও সৌখিন মানুষ। কৃষকদের আমাদের কৃষি অফিস থেকে সার-বীজ দিয়ে সহযোগিতা করেছি। এতে মহাসড়কের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে। একদিকে সড়কে রোপণ করা সবুজ সবজিগুলো হতে অক্সিজেন পাচ্ছেন মানুষ আর সৌন্দর্যের আলো ছড়াচ্ছে। তাদের এই উদ্যোগে আমি খুশি। আমরা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে বীজ প্রদানসহ তাদের সবসময় সহযোগিতা করে যাবো বলে তিনি জানান।