নিজস্ব প্রতিবেদক »
চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে আয়োজিত আওয়ামী লীগের জনসভায় বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনসভাস্থল পরিদর্শন করতে গতকাল রাতে ছুটে আসেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পরিদর্শন শেষে তিনি চট্টগ্রামকে আওয়ামী লীগের দুর্ভেদ্য ঘাঁটি বলে আখ্যায়িত করেন।
শনিবার রাত ১০টায় নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠের প্রবেশমুখে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
তিনি বলেন, এই চট্টগ্রাম বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার দুর্ভেদ্য ঘাঁটি। স্মরণকালের বড় মহাসমাবেশে রোববার শেখ হাসিনা বক্তব্য দেবেন। কয়েকদিন আগে তিনি বঙ্গবন্ধু টানেলের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিয়েছেন। দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম নদীর তলদেশে নির্মিত হয়েছে টানেল। একটা টিউবের কাজ শেষ হয়ে গেছে। আরেকটা টিউবের কাজ শেষ পর্যায়ে। আশা করছি, জানুয়ারির মধ্যে টানেলের কাজ শেষ হবে। প্রধানমন্ত্রী এটা উদ্বোধন করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রাম প্রসঙ্গে বলেন, তিনি চট্টগ্রামকে পছন্দ করেন। এই চট্টগ্রামে উনার অনেক স্মৃতি আছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেক স্মৃতি আছে। এম এ আজিজ, জহুর আহমদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর অনেক ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এম এ আজিজ শেখ হাসিনার বিয়ের আয়োজন করেছিলেন। সুতরাং এ চট্টগ্রাম নিয়ে তার মায়াবী টান আছে। সাগর, পাহাড়ের শ্যামল পরিবেশ তাকে টানে।
চট্টগ্রামের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চট্টগ্রামে ফোরলেন সড়ক হয়ে গেছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সিক্সলেন করার জন্য জাইকার সঙ্গে কথা হচ্ছে। চট্টগ্রামে যেদিকে তাকাই, সেখানেই শেখ হাসিনার উন্নয়ন দেখি।
বিএনপির কথা তুলে এনে তিনি বলেন, বিএনপি আজ বাড়াবাড়িটা বেশি করে ফেলেছে। সমাবেশ হবে এক সপ্তাহ পর। অথচ তারা আজ থেকে তাবু খাঁটিয়ে বালিশ-বিছানা, মশারি এনে একটা নাটক করছে। পাড়া-মহল্লায়, শহরে, দেশের প্রতি জেলা, উপজেলায়, থানা, ইউনিয়নে, গ্রামে-ওয়ার্ডে আমাদের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত আছে। এখন ছাড় দিচ্ছি, বাড়াবাড়ি করলে আর ছাড় দেব না।
বিএনপিকে এখনও ছাড় দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। বেশি বাড়াবাড়ি করলে ছেড়ে দেয়া হবে না। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির বৃহত্তর ঐক্যের ডাক দেবেন শেখ হাসিনা।
এ সময় তার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।