চট্টগ্রাম ঐতিহ্যগতভাবে অসাম্প্রদায়িক নগরী

‘চট্টগ্রাম ঐতিহ্যগতভাবে অসাম্প্রদায়িক নগরী। এখানে হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান একই সাথে সম্প্রীতিময় পরিবেশে বসবাস করেন এবং প্রত্যেকেই নিজ নিজ ধর্মীয় অধিকার ভোগ করেন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সকল ধর্মাবলম্বী জনগোষ্ঠীর ত্যাগ ও অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে এদেশে  অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক চেতনার ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মহল বিশেষ এই ভিত্তিকে দুর্বল করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র করলেও তা কখনো সফল হয়নি এবং হবেও না।’

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে চসিকের উদ্যোগে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন উপলক্ষে  স্থাপিত ২৭০টি সর্বজনীন পূজো ম-পের প্রতিটিতে পাঁচ হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, প্রায় দু’বছর ধরে করোনা ছোবলে সকল ধর্মীয় উৎসব ও অনুষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে করতে হয়েছে। সম্প্রতি কোভিড সংক্রমণ পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকায় নগরীতে দুর্গোৎসব পালিত হতে যাচ্ছে। তারপর যথাসম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মেনেই উৎসব উদযাপন করতে হবে এবং যে-কোন মূল্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য পূর্ণ পরিবেশ সুরক্ষার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হবে। তিনি আরো স্মরণ করিয়ে দেন যে, ধর্ম যার যার তবে উৎসব সবার।

চসিক সমাজকল্যাণ ও কমিউনিটি সেন্টার স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, পুলক খাস্তগীর, সংরক্ষিত কাউন্সিলর নীলু নাগ, রুমকী সেনগুপ্ত। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আশীষ কুমার ভট্টাচার্য, হিল্লোল সেন উজ্জ্বল, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ। বিজ্ঞপ্তি