সুহৃদ সম্মাননা ও স্বাধীনতার বইমেলা স্মারকগ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠান
চট্টগ্রাম একাডেমির উদ্যোগে সুহৃদ সম্মাননা ও স্বাধীনতার বইমেলা স্মারকগ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠান ১০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় একাডেমির ফয়েজ নুরনাহার মিলনায়তনে শেষ হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক শিক্ষাবিদ ও কলামিস্ট ড. আনোয়ারা আলম। একাডেমি প্রতিষ্ঠাতা, কবি ও শিশুসাহিত্যিক রাশেদ রউফের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন একাডেমির সাবেক মহা-পরিচালক প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী, শিল্পশৈলী সম্পাদক একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক নেছার আহমদ, স্বাধীনতার বইমেলা স্মারকগ্রন্থের সম্পাদক শারুদ নিজাম, নির্বাহী সম্পাদক বাসুদেব খাস্তগীর ও গল্পকার মিলন বণিক।
সূচনা বক্তব্য দেন একাডেমির মহাপরিচালক অরুণ শীল। অনুভূতি ব্যক্ত করেন সম্মাননাপ্রাপ্ত চার ব্যক্তিত্ব মো. মাজহারুল হক, মো. ইমতিয়াজ ইসলাম, জান্নাতুল ফেরদৌস ও রনি সাহা। অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন একাডেমির পরিচালক প্রফেসর রীতা দত্ত, দীপক বড়–য়া, জাহাঙ্গীর মিঞা, এস এম আবদুল আজিজ, সৈয়দা রিফাত আক্তার নিশু, সুপ্রতিম বড়–য়া, মৃণালিনী চক্রবর্তী, এম কামাল উদ্দীনসহ একাডেমির আজীবন, জীবন ও সাধারণ সদস্যবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, চট্টগ্রাম একাডেমি হাঁটি হাঁটি পা পা করে অনেকদূর এগিয়েছে। একে আরো সুন্দর, সমৃদ্ধ ও উন্নত করতে যে যার অবস্থান থেকে সহযোগিতা করবেন। একাডেমির উল্লেখযোগ্য একটি কাজ স্বাধীনতার বইমেলা। গত দেড়যুগ ধরে নিয়মিত বইমেলার আয়োজন করেছে। গতবছরও সে ধারাবাহিকতায় মার্চে বইমেলার আয়োজন করে। কিন্তু মহাদুর্যোগ করোনার কারণে সবকাজ গুছিয়ে আনার পরও শেষ পর্যন্ত স্থগিত করা হয়। বইমেলা স্থগিত হলেও স্মারকগ্রন্থ প্রকাশের কাজটি অব্যাহত রাখা হয়। আজ সেই গ্রন্থটি প্রকাশ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এটি সংগ্রহে রাখার মতো একটি প্রকাশনা। একই সাথে আজ চার ব্যক্তিত্বকে সম্মাননা জানানো হয়। একাডেমির আজীবন সদস্য হিসেবে এরা যুক্ত হয়ে একাডেমির আগামীর পথচলাকে আরও সুন্দর ও সমৃদ্ধ করবেন। সবার সহযোগে চট্টগ্রাম একাডেমি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বসমূহ পালনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। পরে সম্মাননাপ্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন অতিথিদের নিয়ে অনুষ্ঠানের সভাপতি ড. আনোয়ারা আলম। তারা একইসাথে বইমেলা স্মারকগ্রন্থের মোড়কও উন্মোচন করেন। বিজ্ঞপ্তি