২৫২২ নমুনায় ৩৯৯ শনাক্ত, আক্রান্তের হার ১৫.৮২%
নিজস্ব প্রতিবেদক :
পুরনো নমুনা যুক্ত হওয়ায় বেড়েছে মোট নমুনার সংখ্যা। বুধবারের হিসেবে ২ হাজার ৫২২ নমুনায় ৩৯৯ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে এর মধ্যে ১ হাজার ৭৪১ নমুনা পুরনো। গতমাসের শুরুতে ঢাকায় দুই হাজার নমুনার মধ্যে এসব নমুনার রিপোর্ট গতকালের রিপোর্টের সাথে যুক্ত করা হয়েছে। আর চট্টগ্রামের নিয়মিত নমুনা ৭৭১টি। সব মিলিয়ে ২ হাজার ৫২২ নমুনায় পজিটিভ হয়েছে ৩৯৯ জন (১৫.৮২%)। এতে চট্টগ্রামে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৩৩০ জন। এদের মধ্যে মারা গেছে ২২০ জন। এদিকে চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছে তিনজন এবং সুস্থ হয়েছে ৫৭ জন, এতে এপর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১,৪৮৭ জন।
এদিকে বুধবার চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ৭৭১টি নমুনার মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছে ১৩১ জনের। এছাড়া ঢাকা থেকে আসা ১ হাজার ৭৪০ জনের নমুনায় করোনা পজিটিভ হয়েছে ২৬৮ জনের। সব মিলিয়ে ৩৯৯ জন। এরমধ্যে ৩১৩ জন নগরীর ও ৮৬ জন উপজেলার বাসিন্দা।
সিভিল সার্জন থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা যায়, চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ১৪০টি নমুনার মধ্যে ২৫টি করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, এদের মধ্যে ২১ জন নগরীর ও ৪ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪৪টি নমুনার মধ্যে পজিটিভ পাওয়া গেছে ৪১ জনের, এদের মধ্যে ২৮ জন নগরীর ও ১৩ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২০৬টি নমুনার মধ্যে ২৩ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, এদের মদ্যে ১৪ জন নগরীর ও ৯ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৮ জনের নমুনায় পজিটিভ হয়েছে ৬ জনের এবং সবাই নগরীর। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২৩৭টি নমুনার মধ্যে ২৬ জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে, এদের মধ্যে ২৩ জন নগরীর ও ১৩ জন উপজেলার। কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ৬ জনের নমুনায় কারো পজিটিভ পাওয়া যায়নি। শেভরনে গতকাল কোনো রিপোর্ট ছিল না।
এদিকে বিআইটিআইডি থেকে ঢাকায় পাঠানো ৪৩৭টি নমুনার রিপোর্ট পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে পজিটিভ হয়েছে ৩৭ জনের, এদের মধ্যে ৫ জন নগরীর ও ৩২ জন উপজেলার। অপরদিকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের ১ হাজার ৩১৪টি নমুনার রিপোর্ট পাওয়া যায়। এসব রিপোর্টের মধ্যে পজিটিভ হয়েছে ২৩১ জনের এবং এদের মধ্যে ২১৬ জন নগরীর ও ১৫ জন উপজেলার। পুরনো এসব রিপোর্ট প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী বলেন, গত মাসে বিআইটিআইডি ও চমেক থেকে দুই হাজার নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল পরীড়্গার জন্য। সেসব নমুনার মধ্যে ১ হাজার ৭৪১ নমুনার রিপোর্ট এর সাথে যুক্ত করা হয়েছে। এসব রিপোর্ট অনেক আগেই এলে আমরা নমুনাদাতাদের জানিয়ে দিয়েছিলাম। কিন’ ডাটাবেইজে যুক্ত হয়নি। আজ যুক্ত করা হলে। পরবর্তীতে বাকি রিপোর্টগুলো পেলে তা যুক্ত করা হবে।
এবিষয়ে কথা হয় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবের ডা. আবুল কালামের সাথে। তিনি বলেন, আমরা এসব রিপোর্ট অনেক আগেই পেয়েছি। সিভিল সার্জন দপ্তর কেন এতো দেরিতে তা যুক্ত করছে এটা তাদের বিষয়।
এদিকে গত বুধবার নতুন করে ৩৯৯ জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা হলো ১২,৩৩০ জন। এর আগে ১৪ জুলাই ১৬৭ জন, ১৩ জুলাই ১৬৭ জন, ১২ জুলাই ১০৭ জন, ১১ জুলাই ১০৫ জন, ১০ জুলাই ১৯২ জন, ৯ জুলাই ১৬২ জন, ৮ জুলাই ২৫৯ জন, ৭ জুলাই ২৯৫ জন, ৬ জুলাই ২৯৭ জন, ৫ জুলাই ২৯২ জন, ৪ জুলাই ২২০ জন, ৩ জুলাই ২৬৩ জন, ২ জুলাই ২৮২ জন, ১ জুলাই ২৭১ জন, ৩০ জুন ৩৭২ জন, ২৯ জুন ৪৪৫ জন, ২৮ জুন ৩৪৬, ২৭ জুন ৬৪ জন, ২৬ জুন ১৫৯ জন, ২৫ জুন ২৪৬ জন, ২৪ জুন ২৪১ জন, ২৩ জুন ২৮০ জন, ২২ জুন ২১৭ জন, ২১ জুন ১৯২ জন, ২০ জুন ১৯৪ জন, ১৯ জুন ১৮৭ জন, ১৮ জুন ১৪৮ জন, ১৭ জুন ১৭৮ জন, ১৬ জুন ১৭৯ জন, ১৫ জুন ১৭১ জন, ১৪ জুন ১৫১ জন, ১৩ জুন ২৬৯ জন, ১২ জুন ২২২ জন, ১১ জুন ২০৭ জন, ১০ জুন ১০৮ জন, ৯ জুন ১১৩ জন, ৮ জুন ৯৯ জন, ৭ জুন ১০৬ জন, ৬ জুন ১৫৬ জন, ৫ জুন ১৪০ জন, ৪ জুন ১৩২ জন, ৩ জুন ১৪০ জন, ২ জুন ২০৬ জন, ১ জুন ২০৮ জন, ৩১ মে ১৬০ জন, ৩০ মে ২৩৭ জন, ২৯ মে ১৫৯ জন, ২৮ মে ২২৯ জন, ২৭ মে ২১৫ জন, ২৬ মে ৯৮ জন, ২৫ মে ১০৩ জন, ২৪ মে ৬৫ জন, ২৩ মে ১৬৬ জন, ২২ মে ১৬১ জন, ২১ মে ৯২ জন, ২০ মে ২৬০ জন, ১৯মে ১২৮ জন, ১৮মে ৫৪ জন, ১৭ মে ৭৩ জন, ১৬ মে ৭৫ জন, ১৫ মে ৬৮ জন, ১৪ মে শনাক্ত হয়েছিল ৬১ জন, ১৩ মে শনাক্ত হয়েছিল ৯৫ জন, ১২ মে ৭৫ জন, ১১ মে ৬৫ জন, ১০ মে ৪৮ জন, ৯ মে শনিবার ১৩ জন, মে শুক্রবার ১১ জন, ৭ মে বৃহস্পতিবার ভেটেরিনারিতে ৩৮ জন ও বিআইটিডিতে ১৯ জন ( কক্সবাজারে একজনসহ) করোনা শনাক্ত হওয়ায় একদিনে ৫৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল চট্টগ্রামে। ৬ মে ১১ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার আগে ৫ মে সোমবারের ভেটেরিনারি রিপোর্টের ১৩ জন, ৫ মে বিআইটিআইডি এর রিপোর্টে ৯ জন (ঢাকা, কুমিলস্না ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগী সহ), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে তিনজন, ১ মে তিনজন, ৩০ এপ্রিল একজন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৭ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল সাতজন ( রাজবাড়ী থেকে আসে একজন), ২৫ এপ্রিল দুই জন ( ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল তিনজন, ২১ এপ্রিল একজন, ১৩ এপ্রিল চারজন, ১৮ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১০ এপ্রিল দুই জন, ৭ এপ্রিল তিনজন, ৫ এপ্রিল একজন ও ৩ এপ্রিল একজন আক্রান্ত হয়েছিল।