সুপ্রভাত ডেস্ক »
অগ্রহায়ণের শেষ সপ্তাহে চট্টগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত। সন্ধ্যার পর থেকে হিমেল বাতাসে রাতে শীতের অনুভূতি। ভোরে ঘন কুয়াশা বাড়িয়েছে শীতের তীব্রতা। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ভোরে কুয়াশায় ঢাকা ছিল চট্টগ্রাম নগর ও উপজেলাগুলো।
তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কমে আসলেও শীতের তীব্রতা লক্ষ্য করা গেছে। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ ও পূর্বাভাস কর্মকর্তা মো. আলী আকবর খান জানান, সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা হতে মঙ্গলবার (আজ) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এছাড়া ভোরের দিকে হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা বিরাজ করতে পারে।
রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় আবহাওয়া সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। খবর বাংলানিউজ।
শীতের তীব্রতা বাড়ায় শীতবস্ত্রের অভাবে বিপাকে পড়েছে ছিন্নমূল মানুষ। এদিকে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চট্টগ্রাম জেলায় বাড়ছে শীতজনিত রোগ। বিশেষ করে শিশুরা নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি, ডায়েরিয়াসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বী বাংলানিউজকে বলেন, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া নিয়ে কিছু রোগী ভর্তি আছে। এখন তো শীতের শুরু। কয়েকদিন পরে বোঝা যাবে শীতজনিত রোগের প্রকোপ কেমন হচ্ছে।