নিজস্ব প্রতিবেদক »
চট্টগ্রামে ডেঙ্গু রোগী আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে। চলতি মাসে এ পর্যন্ত ৮৫৯ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। একদিনে ৯১ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা এ বছরের সর্বোচ্চ। জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৬৭৪ জন শনাক্ত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ১ হাজার ৬৭৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭৯২ জন পুরুষ এবং ৪৬১ জন নারী এবং ৪২১ জন শিশু। আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১২৩০ জন মহানগরের এবং ৪৪৪ জন বিভিন্ন উপজেলার। এছাড়া একই সময়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ২ জন পুরুষ, ৬ নারী ও ৪ শিশু রয়েছে।
অপরদিকে উপজেলার রোগীদের মধ্যে সীতাকু-ে সর্বোচ্চ ১১৫ জন, কর্ণফুলীতে ৬৭ জন, সাতকানিয়ায় ৪৮ জন, পটিয়ায় ৪৬ জন, হাটহাজারীতে ৩৫ জন, লোহাগাড়ায় ২০ জন, বোয়ালখালীতে ১৮, মিরসরাইয়ে ১৪, বাঁশখালীতে ২০, রাঙ্গুনিয়ায় ১২, আনোয়ারায় ১০, রাউজানে ১৩, চন্দনাইশে ১১, ফটিকছড়িতে ১০ ও সন্দ্বীপে ৫ জন।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন সংস্থাকে পরিচ্ছন্নতা অভিযান জোরদারের আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে এখন সবচাইতে বেশি দরকার জনসচেতনতা। বাড়ির আশেপাশে ঝোপ-ঝাড় পরিষ্কার করতে হবে। কোথাও যাতে তিনদিনের বেশি পানি জমে না থাকে সেদিকে বেশি লক্ষ্য রাখতে হবে। বাড়িতে ডেঙ্গু রোগীকে মশারির ভেতরে রেখে চিকিৎসা করাতে হবে। জ্বর হওয়ার সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। একই সাথে রোগীর অবস্থা খারাপ হওয়ার আগে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে।
সিভিল সার্জন জানান, উপজেলা পর্যায়ে হেলথ ইনস্পেক্টর ও স্যানিটারি ইনস্পেক্টরদের আজ ডেকে আমরা স্বাস্থ্য শিক্ষা জোরদার করতে বলেছি।পাশাপাশি বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু কর্নার প্রস্তুত রাখতে বলেছি।
এখনও ৮২ জন বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানান সিভিল সাজন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া।
বর্ষা মৌসুমের শেষে আগস্টের মাঝামাঝি থেকে বৃষ্টি শুরু হলে আগস্টের শেষ সপ্তাহ থেকে চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে থাকে। সেপ্টেম্বরে তা আরও বেড়ে যায়।