গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, চট্টগ্রাম মহানগরীর সড়কে গত আট বছরে ৬৬২টি সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। এত প্রাণের অকাল প্রয়াণ কেবল একটি সংখ্যা নয়, বরং এটি ৬৬২টি পরিবারের স্বপ্নভঙ্গের করুণ কাহিনি এবং রাষ্ট্রের চরম অব্যবস্থাপনার চিত্র । সম্প্রতি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিবেদনে উঠে আসা এই তথ্য আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে যে, বন্দরনগরীর সড়কগুলো এখন ক্রমশ মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। একটি পরিকল্পিত ও আধুনিক নগরীতে আট বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় এতো বিপুল সংখ্যক মানুষের মৃত্যু কোনোভাবেই স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে মেনে নেওয়া যায় না।
বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এই ৬৬২টি মৃত্যুর পেছনে কিছু সুনির্দিষ্ট কারণ বারবার সামনে আসছে। প্রথমত, চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রধান সড়কগুলো থেকে শুরু করে অলিগলি পর্যন্ত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কয়েক হাজার ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও অবৈধ রিকশা-অটোরিকশা। দ্বিতীয়ত, চালকদের অদক্ষতা এবং বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর প্রতিযোগিতা। বিশেষ করে নগরীর টাইগারপাস, জিইসি মোড়, বহদ্দারহাট এবং পতেঙ্গা এলাকায় রাত বাড়ার সাথে সাথে ভারী যানবাহনের যে উন্মত্ততা দেখা যায়, তা নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক বিভাগের ভূমিকা নিয়ে জনমনে গভীর প্রশ্ন রয়েছে।
আবার কেবল চালকদের ওপর দায় চাপিয়ে প্রশাসনের পার পাওয়ারও সুযোগ নেই। বন্দরনগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তির ব্যবহারের অভাব অত্যন্ত প্রকট। ডিজিটাল সিগন্যাল ব্যবস্থা অকার্যকর থাকায় এবং যত্রতত্র পার্কিং ও ফুটপাত দখলের ফলে পথচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মূল সড়ক দিয়ে হাঁটতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, নিহতের বড় একটি অংশই পথচারী, যারা রাস্তা পারাপারের সময় বা ফুটপাত না থাকায় বাসের নিচে পিষ্ট হয়েছেন।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে এখন আর মৌখিক আশ্বাসে কাজ হবে না। প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে। লাইসেন্সবিহীন চালক এবং ফিটনেসবিহীন যানের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে। চট্টগ্রামের মতো পাহাড়-ঘেরা এবং বাণিজ্যিক গুরুত্বসম্পন্ন শহরের জন্য একটি সমন্বিত পরিবহন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি। পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সামাজিক সংগঠনগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে।
আমরা মনে করি, সড়কের এই রক্তপাত বন্ধ করা কেবল সরকারের একার দায়িত্ব নয়, এটি চালক, মালিক এবং সাধারণ পথচারী—সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর নির্ভরশীল। তবে সবার আগে প্রয়োজন আইনের শাসন। দোষী চালকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ট্রাফিক পুলিশের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে না পারলে এই মৃত্যুর মিছিল থামানো সম্ভব হবে না।
বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এই ৬৬২টি মৃত্যুর পেছনে কিছু সুনির্দিষ্ট কারণ বারবার সামনে আসছে। প্রথমত, চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রধান সড়কগুলো থেকে শুরু করে অলিগলি পর্যন্ত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কয়েক হাজার ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও অবৈধ রিকশা-অটোরিকশা। দ্বিতীয়ত, চালকদের অদক্ষতা এবং বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর প্রতিযোগিতা। বিশেষ করে নগরীর টাইগারপাস, জিইসি মোড়, বহদ্দারহাট এবং পতেঙ্গা এলাকায় রাত বাড়ার সাথে সাথে ভারী যানবাহনের যে উন্মত্ততা দেখা যায়, তা নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক বিভাগের ভূমিকা নিয়ে জনমনে গভীর প্রশ্ন রয়েছে।
আবার কেবল চালকদের ওপর দায় চাপিয়ে প্রশাসনের পার পাওয়ারও সুযোগ নেই। বন্দরনগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তির ব্যবহারের অভাব অত্যন্ত প্রকট। ডিজিটাল সিগন্যাল ব্যবস্থা অকার্যকর থাকায় এবং যত্রতত্র পার্কিং ও ফুটপাত দখলের ফলে পথচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মূল সড়ক দিয়ে হাঁটতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, নিহতের বড় একটি অংশই পথচারী, যারা রাস্তা পারাপারের সময় বা ফুটপাত না থাকায় বাসের নিচে পিষ্ট হয়েছেন।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে এখন আর মৌখিক আশ্বাসে কাজ হবে না। প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে। লাইসেন্সবিহীন চালক এবং ফিটনেসবিহীন যানের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে। চট্টগ্রামের মতো পাহাড়-ঘেরা এবং বাণিজ্যিক গুরুত্বসম্পন্ন শহরের জন্য একটি সমন্বিত পরিবহন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি। পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সামাজিক সংগঠনগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে।
আমরা মনে করি, সড়কের এই রক্তপাত বন্ধ করা কেবল সরকারের একার দায়িত্ব নয়, এটি চালক, মালিক এবং সাধারণ পথচারী—সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর নির্ভরশীল। তবে সবার আগে প্রয়োজন আইনের শাসন। দোষী চালকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ট্রাফিক পুলিশের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে না পারলে এই মৃত্যুর মিছিল থামানো সম্ভব হবে না।



















































