সুপ্রভাত ডেস্ক :
দেশের ১৭টি বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালের আউটডোরেও এখন করোনাভাইরাস শনাক্তে নমুনা পরীক্ষা করা যায়।
করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ কথা জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহর বা অন্যান্য জায়গায় বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল যেগুলো আছে, তাদের নমুনাও তারা আউটডোর বেসিসে পরীক্ষা করতে পারেন। নমুনা সংগ্রহ করেও হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেন বা তারা ওখানেও আউটডোর বেসিসে নমুনা সংগ্রহ করেও পরীক্ষা করতে পারেন।’
তিনি জানান, দেশের ১৭টি বেসরকারি পর্যায়ে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে করোনা শনাক্তে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকায় ১৪টি ও ঢাকার বাইরে ৩টি।
ঢাকার মধ্যে হাসপাতালগুলো হলো- এভারকেয়ার হাসপাতাল, এভার কেয়ার হাসপাতাল, স্কয়ার হাসপাতাল, ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ইউনাইটেড হাসপাতাল, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ সায়েন্স জেনারেল হাসপাতাল। ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতাল ও কেয়ার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকেও অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে তারা এখনও কার্যক্রম শুরু করেনি।
ঢাকার বাইরের অনুমতি দেয়া হাসপাতালগুলোর মধ্যে বগুড়ার টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রাফাতউল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতাল এবং ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম।
এছাড়া ডায়গনস্টিক সেন্টার হিসেবে করোনা পরীক্ষার অনুমতি পেয়েছে প্রভা হেলথ ডায়াগনস্টিক বাংলাদেশ লিমিটেড, বায়োমেড ডায়াগনস্টিক, ডিএমএফআর মনিকুলার ল্যাব ডায়াগনস্টিক, ডিএনএ সলিউশন লিমিটেড এবং চট্টগ্রামে শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি।
তাছাড়াও আইসিডিডিআরবিকেও (আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ) অনুমতি দেয়া হয়েছে।
নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘এখানে আমি আরেকটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই যে, আইসিডিডিআরবি ও প্রভা হেলথ বাংলাদেশ লিমিটেড সরকারের দেয়া কিট দিয়ে তারা সরকারের নমুনা পরীক্ষা করে দেয়। এছাড়া তারা নিজেরাও বেসরকারিভাবে নমুনা সংগ্রহ এবং পরীক্ষা করতে পারেন। যখন সরকারের পাঠানো নমুনা তারা পরীক্ষা করবেন, তখন সরকারের দেয়া আরটি পিসিআর কিট দিয়ে তারা পরীক্ষা করবেন। তাদের নিজেদের রোগী বা নিজেদের ব্যক্তিকে তারা বেসরকারি যে নিয়ম আছে, সেই অনুযায়ী তারা পরীক্ষা করবেন।’
বেসরকারি ল্যাবরেটরি বা হাসপাতালে করোনা পরীক্ষায় সরকার নির্ধারিত ফি ৩৫০০ টাকা। কিন্তু নমুনা সংগ্রহে বাড়িতে গেলে সেক্ষেত্রে আরও ১ হাজার টাকা ক্লিনিকগুলো গ্রহণ করতে পারবে।