সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
টস জিতে তামিম ইকবাল ম্যাচটাও জিতে নিলেন! চিরাচরিত মিরপুরের উইকেট। বল থেমে আসবে। অসমান বাউন্স হবে। টস জিতে তাই প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ব্যাটিংয়ে পাঠাতে ফরচুন বরিশালের অধিনায়কের দ্বিতীয়বার চিন্তা করতে হয়নি। কিন্তু একটা ভয় তো ছিলই! এবারের আসরে চট্টগ্রামের বিরুদ্ধে আগের দুইবারই রান তাড়ায় হেরেছে বরিশাল। প্রথমবার ১০ রানে। দ্বিতীয়বার ১৬ রানে। এবার হারলে তো প্রতিযোগিতা থেকে বিদায়। কারণ, ম্যাচটা এলিমিনেটর। ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে তামিম সাহস দেখালেন। টসের সময়ই জানিয়ে রাখলেন, প্রতিপক্ষকে ১৫০ রানের নিচে আটকে রাখতে চান। অন্যদিকে চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত হোম ১৭০ রানের লক্ষ্যর কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু ২২ গজে এলোমেলো ব্যাটিংয়ে সেই লক্ষ্যের কাছাকাছিও যেতে পারেনি চট্টগ্রাম। বরিশালের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে অ্যালিমিনেটর ম্যাচে স্রেফ উড়ে গেছে চট্টগ্রাম। ৭ উইকেটের জয়ে বরিশাল উঠেছে গেছে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে। চট্টগ্রাম প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১৩৫ রানের পুঁজি পায়। বরিশাল হাতে ৩১ বল রেখে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে। এই ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগে বরিশালের শক্তির ঝাঁজ টের পেয়েছে চট্টগ্রাম। বড় ম্যাচে বড় তারকারা কিভাবে দলটাকে গুছিয়ে ফেলে, মাঠে পারফর্ম করে সেটাই বরিশাল করে দেখিয়েছে। ডেভিড মিলার গত রোববার দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। গতকাল মাঠে নেমে ফিল্ডিংয়ে এক ক্যাচ নিয়েছেন। জয়ের দোরগোড়ায় ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩ বলে ১৭ রান করে রাখেন অবদান। জ্বলে উঠেন কাইল মায়ার্স। বোলিংয়ে ২৮ রানে ২ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাটিংয়ে ২৫ বলে ফিফটি করেন দুইশ স্ট্রাইক রেটে। শুভাগত হোমের এক ওভারে তিন ছক্কা, দুই চারে ২৬ রান তোলেন। বিলাল খানের বলে তার বিধ্বংসী ইনিংস থেমে যায় ওখানেই। নয়তো মায়ার্স শো চলতোই। ৩ চারের সঙ্গে ৫ ছক্কায় মাঠ মাতান মায়ার্স। প্রথম পর্বে ৩৯১ রান করা তামিম অ্যালিমিনেটরেও খেলেছেন দায়িত্বশীল ইনিংস। শতরানের ওপর স্ট্রাইক রেটে ৪১ বলে তুলে নেন বিপিএলের তৃতীয় ফিফটি। শেষ পর্যন্ত ৪৩ বলে ৫২ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন বরিশালের অধিনায়ক। যেখানে ছিল ৯ চারের মার। ব্যাটিংয়ে তাদের সব ভালো দিনে হতাশ করেছেন সৌম্য সরকার। ওপেনিংয়ে ফিরে শুভাগতকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে টপ এজে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেন শূন্য রানে। ব্যাটিংয়ে নিজেদের শক্তি প্রদর্শণীর আগে বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে বরিশাল ছিল দ্যুতিময়। আলগা কোনো বলই করেননি বোলাররা। রান পেতে রীতিমত ভুগেছেন ব্যাটসম্যানরা। সঙ্গে নিয়মিত বিরতিতে হারিয়েছে উইকেট। তাতে অল্পরানেই গুটিয়ে গেছে তাদের ইনিংস। বরিশাল যেখানে পাওয়া প্লে’তে ৭৩ রান পেয়েছিল। সেখানে চট্টগ্রাম জমা করে ৪০ রান। তামিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে জীবন পাওয়ার পরও জশ ব্রাউন ২২ বলে ৩৪ রানের বেশি করতে পারেননি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান ছিল তারই। এছাড়া শুভাগত ১৬ বলে করেন ২৪ রান। বাকিরা এসেছেন, ফিরেছেন। বল হাতে কাইল মায়ার্সের সঙ্গে ২ উইকেট ভাগাভাগি করেন সাইফ উদ্দিন ও ওবেদ ম্যাকয়। ১টি করে উইকেট নেন তাইজুল ও জেমস ফুলার। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বরিশাল নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছে ভালোভাবে। অ্যালিমিনেটরে যে শক্তির প্রদর্শনী করলো তা নিশ্চিতভাবেই বাকিদের জন্য হুমকির কারণ। খবর রাইজিংবিডি.কম’র