নিজস্ব প্রতিবেদক
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. কামরুল হুদা। তিনি কয়েকজনকে নিয়ে যান নগরীর হাজারী গলি এলাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ী পরিমল ধরের কাছে। পরিমল ইয়াবা ব্যবসার মাধ্যমে কালো টাকা উপার্জন করেছে বলে তাকে দুদকের একটি চিঠি দেন। এরপর একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে কামরুল দোকান ত্যাগ করেন। বিষয়টি ভুক্তভোগী তার ভাতিজার সঙ্গে আলোচনা করে ওই মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করলে কামরুল তাদের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। পরে তারা পাঁচলাইশের একটি রেস্টুরেন্টে বসলে ভুক্তভোগীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কামরুল হুদাকে গ্রেফতার করে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ।
গতকাল রোববার কামরুল হুদাকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন আদালতে তোলা হলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ‘দুদক কর্মকর্তা কামরুল এবং অজ্ঞাতনামা ২ থেকে ৩ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়। শনিবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী পরিমলের সঙ্গে বৈঠক চলাকালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কামরুলকে গ্রেফতার করে। তাকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার রাতে মামলা করে পুলিশ। শনিবার রাতে মামলা দায়েরের পর রোববার সকালে অভিযুক্ত কামরুল হুদাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছে।’
জানা যায়, ২০১৩ সালে অভিযুক্ত কামরুল এক কনস্টেবলকে সঙ্গে নিয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হয়েছিলেন। যদিও ওই সময় দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে কামরুলের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে দুদকের বিভাগীয় কোনো তদন্ত কিংবা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এবার দুদক কর্মকর্তা কামরুলকে গ্রেফতারের পর সংস্থাটির চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাত এবং সহকারী পরিচালক এমরান হোসেন থানায় যান। তাদের সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে পুলিশ মামলা রুজুর সিদ্ধান্ত নেয়। কামরুলের গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলায়।