সুপ্রভাত ডেস্ক »
কপালে টিপ পরা নিয়ে এক কলেজ শিক্ষককে হয়রানির ঘটনায় চিহ্নিত পুলিশ সদস্য নাজমুল তারেক এক নারীর সঙ্গে ‘একটি ঘটনা’ ঘটেছে বলে স্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তদন্ত ও ঘটনার সত্যতা তুলে আনা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার।
ডিসি বিপ্লব বলেন, ”আমরা ওই পুলিশ সদস্যকে শনাক্ত করেছি। তার সঙ্গে কথা বলেছি। একজন নারীর সঙ্গে একটি ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি স্বীকার করেছেন।’
‘ওই কনস্টেবলের নাম নাজমুল তারেক। তিনি একজন পুলিশ কনস্টেবল, ঢাকা মেট্রোপলিটনের প্রোটেকশন ডিভিশনে তিনি কর্মরত,’ বলেন তিনি।
গত শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় তেজগাঁও কলেজের পাশে সেজান পয়েন্টে মোটরবাইকে বসে পুলিশের পোশাক পরিধেয় একজন টিপ পরার কারণে যৌন হয়রানিমূলক উক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে যৌন হয়রানি করেছেন এবং এর প্রতিবাদ করতে গেলে তার পায়ের পাতার উপর দিয়ে বাইক চালিয়ে তাকে আহত করেছেন বলে অভিযোগ করেন তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক লতা সমাদ্দার। শনিবার বিকেলে এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন তিনি।
ডিসি বিপ্লব বলেন, ‘অভিযোগকারী শিক্ষিকা ঘটনার বিবরণ উল্লেখ করে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি জিডি করেছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই আমরা বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি, যথাযথ তদন্ত করেছি। তেজগাঁও ডিভিশনের সমস্ত কর্মকর্তারা এটি নিয়ে কাজ করেছেন।’
জিডির তদন্ত কার্যক্রম যেভাবে পরিচালনা হওয়া প্রয়োজন সেভাবেই পরিচালিত হবে। এ ঘটনায় যথাযথ তদন্ত করে প্রকৃত তথ্য বের করে আনা হবে বলে জানান তিনি।
টিপ পরায় হেনস্তা সংক্রান্ত অভিযোগ সম্পর্কে কিছু জানা গেছে কী না, জানতে চাইলে ডিসি বিপ্লব বলেন, ‘ঘটনা ঘটেছে, সেটা জেনেছি। এখন অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিতে যথাযথ প্রক্রিয়ায় তদন্ত করব। আমাদের প্রাথমিক কাজ ছিল অভিযুক্তকে শনাক্ত করা। যেহেতু জিডিতে অভিযুক্তের নাম, পদবি ও মোটরসাইকেলের নম্বর পরিপূর্ণভাবে ছিল না। শুধু সংক্ষিপ্ত বিবরণী ছিল। তবে আমরা চেষ্টা করে পরিচয় নিশ্চিত হয়েছি।’