নিজস্ব প্রতিবেদক »
সাময়িক বরখাস্ত হলেন মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকার রেললাইনের গেটম্যান সাদ্দাম হোসেন। সাময়িক বরখাস্ত এই গেটম্যানের বিরুদ্ধে রেলওয়ে পুলিশ মামলাও দায়ের করেছে গতকাল। গত শুক্রবার তার অবহেলার কারণে ট্রেন-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে এ ঘটনা অনুসন্ধানে রেলওয়ের পক্ষ থেকে দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে সাময়িক বরখাস্তের কথা স্বীকার করে পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, দুর্ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে গেটম্যান সাদ্দামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং মামলাও হয়েছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সীতাকু- রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক খোরশেদ আলম জানান, শুক্রবার রাতে সীতাকু- রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই জহিরুল ইসলাম বাদি হয়ে গেটম্যান সাদ্দাম হোসেনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে।
এদিকে রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, সারাদেশে রাজস্ব খাতের একটি প্রকল্পের আওতায় ৩২৮টি লেভেল ক্রসিং এ গেটম্যান নিয়োগ করে রেলওয়ে। আর এসব গেটম্যান প্রধান শহরের বাইরের লেভেল ক্রসিংগুলোতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এরমধ্যে পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়েতে ছিল ৫০ জন। সাদ্দাম এই ৫০ জনের একজন ছিল।
অভিযোগ রয়েছে, সাদ্দাম হোসেন লেভেল ক্রসিংয়ের গেট না ফেলে মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। পাল্টা অভিযোগও রয়েছে সাদ্দামা হোসেন গেট ফেললেও মাইক্রোবাস চালক গেট উপরের দিকে তুলে রেল লাইনের উপর গাড়ি উঠিয়ে দিয়েছেন। এখন প্রশ্ন হলো ট্রেন আসার সময় গেটম্যান সাদ্দাম হোসেন স্পটে ছিলেন কিনা।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দুপুরে মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া এলাকায় ঢাকা থেকে আসা মহানগর প্রভাতী ট্রেনের সাথে ধাক্কা খায় একটি মাইক্রোবাসের। মাইক্রোবাসে হাটহাজারীর একটি কোচিং সেন্টারের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা ছিল। তারা খৈয়াছড়া ঝরনা ঘুরে ফেরত যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু হয়।