গুমের মামলা : সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউলের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ পর্যায়ে

সুপ্রভাত ডেস্ক »

আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনসহ নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে আগামী দুই মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়। তবে তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রসিকিউশন।

রোববার (২৬ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদের নেতৃত্বে দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ দিন ধার্য করেন। অন্য সদস্য হলেন- অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এদিন ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। তিনি এ মামলার অগ্রগতি তুলে ধরেন। একইসঙ্গে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আরও দুই মাস সময় চান। পরে তার আবেদন মঞ্জুর করে নতুন দিন নির্ধারণ করেন ট্রাইব্যুনাল-১।

এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রসিকিউটর তামিম বলেন, আজ বেশ কয়েকটি মামলার শুনানি হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো গুমের অভিযোগে হওয়া মামলা। যা দীর্ঘদিন ধরে চলছে। ওই মামলার নির্ধারিত তারিখ ছিল আজ। এর পরিপ্রেক্ষিতে আসামি জিয়াউল আহসানকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে এ মামলায় সময় প্রার্থনা করা হয়েছে। পরে তা মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল।

তিনি বলেন, এ মামলায় এরই মধ্যে দুটি ফরমাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) দাখিল হয়েছে ট্রাইব্যুনালে। আরেকটি অংশের তদন্ত চলছে। খুব শিগগিরই তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়ে যাব। আসলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ বেশ কয়েকজন আসামি ছিল। তবে দুটি অংশ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল হয়ে ফরমাল চার্জ আকারে ট্রাইব্যুনালে দেওয়া হয়েছে। আরেকটি অংশের তদন্ত একদম শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে তদন্ত সংস্থা। সেজন্য দুই মাস সময় চেয়েছি।

গুমের এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলসহ শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য ছিল। গত ২৪ আগস্ট এ আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল।

এর আগে, ২৪ জুন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুই মাস সময় দেওয়া হয়। এ নিয়ে একাধিকবার সময় বাড়ানো হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকের শাসনামলে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনাসহ আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়। সেদিন প্রসিকিউশনের আবেদনে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। ওই দিনও জমা দিতে না পারায় ২৪ জুন পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রসিকিউশনের পক্ষে সময় চাইলে ফের নতুন দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।