সুপ্রভাত ডেস্ক »
‘স্বৈরাচারের আস্তানা’ স্লোগানে স্লোগানে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর ভাংচুর করা হয়েছে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ ও আমির হোসেন আমুর বাসা।
গণঅভ্যুত্থানে পতনের পর পালিয়ে থাকা শেখ হাসিনার অনলাইনে ভাষণের ঘোষণা দেয়ার প্রতিবাদে এই আগুন দেওয়া হয় ভোলার-১ আসনের সাবেক এমপি তোফায়েল আহমেদের ভোলা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের গাজীপুর রোডের প্রিয় কুটিরে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১টার পরে শহরের গাজীপুর সড়কের বাড়ির সামনে ছাত্র-জনতা অবস্থান নিয়ে ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় ছাত্র-জনতা স্লোগান দিতে থাকে ‘স্বৈরাচারের আস্তানা জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও’।
এর আগে ভোলা শহর থেকে ফ্যাসিবাদ-বিরোধী স্লোগান দিয়ে একটি মিছিল নিয়ে ছাত্র-জনতা তোফায়েল আহমেদ বাড়ির সামনে আসে। রাত সাড়ে ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত তোফায়ের আহমেদ বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা। ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা এই বাসা থেকেই তোফায়েল আহমেদ তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসতেন।
এর আগে ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর তোফায়েল আহমেদ এই বাসা অক্ষত ছিল।
এদিকে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লাইভে এসে বক্তব্য দেওয়ার প্রতিবাদে বুলডোজার কর্মসূচির অংশ হিসেবে বরিশালেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে আবুল হাসান আব্দুল্লাহর বাস ভবন এবং ঝালকাঠি ২ আসনের সাবেক এমপি আমির হোসেন আমুর বাসার বাইন্ডারি দেয়াল ও মূল ভবনের একাংশ ভেঙে দিয়েছে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা।
রাত বারোটার পরে বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা শুরুতে হামলাও ভাঙচুর করে এক পর্যায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে সেনাবাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে ছাত্র জনতাকে ধাওয়া দেয়। এত বেশ কয়েকজন ছাত্ররা আহত হয়। একপর্যায়ে তারা সেনাবাহিনীর উপরে চড়াও হলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পড়া সেনা সদস্যরা ছাত্রদেরকে বোঝালে আগুন দেয়া থেকে তারা বিরত থাকলেও বুলডোজার কর্মসূচি চালিয়ে যায় তারা।
নগরির কালিবাড়ি রোডের এই বাসায় বসেই আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর ছেলে সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন।
পরে রাত দুইটার দিকে নগরীর বগুড়া রোডের আমির হোসেন আমুর বাড়িও ভাঙচুর করা হয়। সেখানে শুরুতে বাড়ির মূল ফটক ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে দোতলা ডুপ্লেক্স ভবন ভাঙার চেষ্টা করে। কিন্তু ভবনটি ১০ ইঞ্চি ঢালাই দেয়াল হওয়ার কারণে তা বুলডোজার দিয়ে তেমন একটা ভাঙ্গা সম্ভব হয়নি।