সুপ্রভাত ডেস্ক »
বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া পয়েন্টে এলপিজি বহনকারী লাইটারেজ জাহাজে (ট্যাঙ্কার) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দল ভোর পর্যন্ত ওই জাহাজে থাকা ৩১ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে।
শনিবার (১২ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে কুতুবদিয়া পয়েন্টের দক্ষিণে নোঙর করা এলপিজি বহনকারী বি-এলপিজি সোফিয়া নামের লাইটারেজ জাহাজে (ট্যাঙ্কার) এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ইস্ট জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন জহিরুল হক নিশ্চিত করেছেন যে বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন ট্যাঙ্কার বি-এলপিজি সোফিয়াতে আগুন লেগেছে। যেটি জাহাজ থেকে জাহাজে মাদার ভেসেল ক্যাপ্টেন নিকোলাস হতে এলপিজি পরিবহনে নিয়োজিত ছিল।
তুফান এক্সপ্রেস নামের টাগবোট দিয়ে ১৮ জন ক্রু, দু’জন মুরিং ম্যান, ট্যাঙ্কার থেকে তিনজন প্রহরী এবং মাদার ভেসেল থেকে আটজন বন্দর নিরাপত্তারক্ষী যারা সাগরে ঝাঁপ দিয়েছিলেন তাদের সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে। ক্রুদের মধ্যে নয় জন বাংলাদেশি, আট জন ইন্দোনেশিয়ান এবং একজন ভারতীয়।
৩১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
কোস্টগার্ডের অগ্নিনির্বাপক টাগবোট প্রোমোটো, একটি টহল বোট এবং আটটি স্পিড বোট উদ্ধার ও আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। নৌবাহিনীও অগ্নিনির্বাপক টাগবোট পাঠিয়েছে। এ ছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সঙ্গে নৌবাহিনী ও পোর্টের অগ্নিনির্বাপক দলসমূহ যৌথভাবে কাজ করেছে।
সিনিয়র নাবিক আতিক ইউ খান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, লাইটারিং অপারেশন শেষে এলপিজি ক্যারিয়ার্স সোফিয়াকে মাদার ভেসেল নিকোলাস থেকে আলাদা করার সময় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। লাইটার ভেসেলের সঙ্গে বাঁধা দড়ি ছিঁড়ে যাওয়ায় মাদার ভেসেলটি নিরাপদ রয়েছে।
এলপিজি ট্যাংকারের সামনের ও পেছনের অংশের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে পুরোপুরি নেভেনি। রাতেই বন্দরের টাগবোট কান্ডারি-৪ বি-এলপিজি সোফিয়াকে কুতুবদিয়া তীর থেকে গভীর সাগরের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আগুন নেভাতে কান্ডারি-৩ পাশেই আছে
এর আগে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ‘বাংলার জ্যোতি’ নামে একটি তেলবাহী জাহাজে আগুনের পর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় তিনজনের মৃত্যু হয়। মৃত ব্যক্তিরা হলেন- ডেক ক্যাডেট সৌরভ কুমার সাহা, বিএসসির ফোরম্যান নুরুল ইসলাম ও শ্রমিক মো. হারুন। তিনজনই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। এ ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।