নিজস্ব প্রতিবেদক »
জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের সীমানা দেয়াল ভেঙে ঢুকে হঠাৎ ঢুকে পড়ে একটি বাস। পরে বৈদ্যুতিক খুঁটির তারে আটকে গাড়িটি থেমে যায়। ওই গাড়িতে কোনো চালক ছিল না বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। গতকাল শনিবার জাকির হোসেন সড়কে অবস্থিত জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত অধিদপ্তরে দুপুর ১২টায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলশি থানার এসআই মাহিন সরোয়ার।
তিনি বলেন, খবর শুনে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে দেখতে পায় বাসটি অর্ধেক রাস্তায় এবং অর্ধেক দেয়াল ভেঙে ভেতরে। গাড়ি বরাবর দেয়াল ভেঙে গেছে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গাড়িটি গতকাল রাত ২টা থেকে গরীব উল্লাহ শাহ কাউন্টারে পার্কিং করে রাখা ছিল। দুপুরের দিকে গাড়িটির ইলেক্ট্রিকেল সমস্যার কারণে অটোস্ট্যার্ট হয়ে চলে যায়। পরে গণপূর্তের দেওয়াল ভেঙে বৈদ্যুতিক খুঁটির তারে আটকে থেমে যায়। গাড়ির সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন গাড়িতে কোনো চালক ছিল না। তবে আমরা এখনো এ ব্যাপারে নিশ্চিত নই। গাড়িটিতে সিসিসি ক্যামেরা লাগানো আছে। সেই ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাড়িটির চালক বলেন, ‘ গাড়িটি নষ্ট হয়ে দুদিন থেকে জাকির হোসেন রোডের ইন্ডিয়ান অ্যাম্বেসির সামনে ছিলো। গত শুক্রবার ঢাকা থেকে ইঞ্জিনিয়ার এসে গাড়িটিকে চলাচলের উপযুক্ত করে পরীক্ষামূলকভাবে নতুন ব্রিজ হয়ে রাত ২টায় গরীব উল্লাহ শাহ কাউন্টারে আনা হয়। আজ (শনিবার) দুপুরে কয়েকজন মেকানিক গাড়িটিতে কাজ করেন। পরে তাদেও বিদায় দিয়ে আমি টিকেট কাউন্টারে যাই। এ সময় হঠাৎ সহকারীর ফোন আসে। সে বলে, গাড়িটা চলে যাচ্ছে। এটা শুনার সাথে সাথে আমি দৌঁড়ে আসি। কিন্তু গাড়ি চলন্ত অবস্থায় থাকায় আমি উঠতে পারিনি। উঠতে পারলে হয়তো দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পাওয়া যেত।’
এ প্রসঙ্গে কথা হয় চট্টগ্রাম জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মাদুদ রেজার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ঘটনার সময় আমাদের কেউ হতাহত হয়নি। তবে পুরো অফিসে একটা আতঙ্ক বিরাজ করেছে। আমরা ইতোমধ্যে গড়িটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা আমাদের দেয়াল পুনরায় মেরামত করে দেবেন। তাই আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে এগুচ্ছি না।’
এদিকে দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িটি সরানোর কাজ চালানোর সময় সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। বিকাল তিনটার দিকে গাড়ি সরানোর কাজ শেষ হলে অবস্থা স্বাভাবিক হয়।