গণতন্ত্রের জন্যই সারাজীবন লড়াই করেছি : শেখ হাসিনা

সুপ্রভাত ডেস্ক »

নির্বাচন কমিশন ‘সম্পূর্ণ স্বাধীন হওয়ায়’ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। আমি সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি।’ খবর বিডিনিউজের।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সেলর ডেরেক শোলের নেতৃত্বে দেশটির একটি প্রতিনিধিদল বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি তাদের এ কথা বলেন।

সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন বলে বাসসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রথমবারের মত সংসদে ইসি পুনর্গঠন আইন পাস হয়েছে এবং তারপর সেই আইনের ভিত্তিতে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। ইসি সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন এবং এর প্রশাসনিক ও আর্থিক স্বাধীনতা রয়েছে।

ইসি গঠনে দীর্ঘদিন কোনো আইন না থাকায় তা নিয়ে বরাবরই সমালোচনা হচ্ছিল। বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ আইন প্রণয়ন হয় ২০২২ সালের ২৭ জানুয়ারি।

ওই আইন অনুযায়ী গঠিত সার্চ কমিটি রাজনৈতিক দলসহ সবার কাছ থেকে ৩২২টি নাম সংগ্রহ করে ১০ জনকে চূড়ান্ত করে। ওই সুপারিশের ভিত্তিতে গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি সিইসি ও চার নিরবাচন কমিশনারকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে তার দল দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করবে।

দুদিনের সফরে মঙ্গলবার ঢাকায় এসেছেন ব্লিংকেনের জ্যেষ্ঠ পলিসি অ্যাডাভাইজার ডেরেক শোলে। সকালে তিনি পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। এরপর তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করেন। পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক হয় মার্কিন প্রতিনিধি দলের।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সেলরের দায়িত্বে থাকা ডেরেক শোলে দেশটির আন্ডার সেক্রেটারি পদমর্যাদায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জ্যেষ্ঠ পলিসি অ্যাডভাইজার।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেনের পরামর্শ অনুযায়ী বিশেষ কূটনৈতিক দায়িত্বও সামলে থাকেন এই কর্মকর্তা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে এসে ডেরেক শোলে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের বৈঠক ‘খুব ভালো’ হয়েছে।

‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে গুরুত্ব দেয়, সে কারণেই আমরা আজ এখানে।ৃ. রাজনৈতিকভাবে, নিরাপত্তার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে আমাদের দুই দেশের ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের ওপর আমরা কতটা গুরুত্ব দিই, এই সফর তারই প্রতীক।’