বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে গৃহবন্দি করে রেখেছে। বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে গণতন্ত্রকে বন্দি রেখেছে। জনগণ আজ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রামে অবতীর্ণ। সরকার জনগণের দাবিকে অগ্রাহ্য করে একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন অব্যাহত রাখতে ষড়যন্ত্র করছে। খালেদা জিয়ার মুক্তি হলে গণতন্ত্রের মুক্তি হবে।
তিনি শনিবার বিকালে কাজীর দেউড়ি নুর আহম্মেদ সড়কে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মহানগর ও উত্তর জেলা বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচি পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কাজির দেউড়ি নুর আহমদ সড়ক থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে লাভ লেইন, জুবলি রোড, আমতল, নিউমার্কেট মোড হয়ে পুরাতন রেল স্টেশন চত্বরে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ ভিপি, নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এস এম ফজলুল হক বলেন, আইনি লড়াই করতে বিদেশ থেকে আইনজীবী আসতে চাইলেও সরকারের আপত্তির কারণে তাকে আসতে দেওয়া হয়নি। বেগম খালেদা জিয়াকে এখন গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, সারাদেশে ডেঙ্গু এখন মহামারী আকার ধারণ করেছে। সরকার ডেঙ্গু মোকাবেলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তারা ক্ষমতায় থাকার কোন যোগ্যতা রাখে না। ডেঙ্গু কোন ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ নয়, এটা হচ্ছে ভাইরাস জনিত রোগ। মশা মারার জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন যে কেমিক্যাল আমদানি করেছে তা দিয়ে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হবে, কিন্তু ভাইরাস ধ্বংস হবে না।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর সুপারিশ করলেও, সরকার তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেয়নি।
এতে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এম এ আজিজ, উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হালিম, মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, উত্তর জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, নুরুল আমিন, নূর মোহাম্মদ, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, ইঞ্জি, বেলায়েত হোসেন, সরওয়ার আলমগীর, কাজী সালাউদ্দিন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, জসীম উদ্দীন সিকদার, কর্নেল আজিমুল্লাহ বাহার, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, মাহবুব আলম, এড মুফিজুল হক ভূঁইয়া, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি