নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি :
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা আগে থেকেই বেশ দুর্বল। চিকিৎসক-নার্স ছাড়াও ঘাটতি রয়েছে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি-পরিবহন এবং আবাসনের। তবু করোনাকালের এই সংকটে এখানকার চিকিৎসা সেবার সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা নিরলস সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
কিন’ অপর দুই পার্বত্য জেলার মতো খাগড়াছড়িতেও করোনা পরীক্ষার ‘পিসিআর ল্যাব’ না থাকায় ভীষণ উদ্বেগের মধ্যে আছেন স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি সাধারণ মানুষরাও। জেলা থেকে এখন করোনা’র নমুনা চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) এবং ফৌজদার হাটের ‘বিআইটিআউডি’-তে পাঠানো হচ্ছে প্রতিদিন। কিন’ সে দুটি প্রতিষ্ঠান আশেপাশের আরো কয়েকটি জেলার চাপে খাগড়াছড়ি জেলাবাসীকে রিপোর্ট পেতে কমপড়্গে আট থেকে দশদিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
এই অবস্থায় খাগড়াছড়িতে প্রতিদিনই করোনার ঝুঁকি বাড়ছে। তাই জেলার প্রতিনিধিত্বশীল বিভিন্ন সংগঠনে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে খাগড়াছড়ি জেলাসদর হাসপাতালে একটি ‘পিসিআর ল্যাব’ এবং ‘আইসিইউ’ ইউনিট স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে ‘সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)’-এর জেলা সভাপতি ও খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. সুধীন কুমার চাকমা, ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)’-এর খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির সভাপতি ও সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বোধিস্বত্ত দেওয়ান এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন আহমেদ, গবেষক প্রভাংশু ত্রিপুরা, আইনজীবি রতন কুমার দে, খাগড়াপুর মহিলা সমিতি (কেএমকেএস)-এর চেয়ারপারসন শেফালিকা ত্রিপুরা, লেখক ও সমাজসেবী অংসুই মারমা, জাবারাং কল্যাণ সমিতি’র নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা প্রমুখ।
বিবৃতিতে তিন পার্বত্য জেলাসদর হাসপাতালে ৪৮টি অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদানের উদ্যোগ নেয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরাকে সাধুবাদ জানানোর পাশাপাশি জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে জনপ্রতিনিধি ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের আরো আন্তরিকতার সাথে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানানো হয়।