সুপ্রভাত রিপোর্ট »
কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ঋণসীমা তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী পাঁচ বছর এসব প্রতিষ্ঠানকে যতখুশি তত ঋণ দিতে পারবে ব্যাংকগুলো। বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রয়োজনীয় অর্থ সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখতে এ সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ এর ২৬খ (১) অনুযায়ী একটি কোম্পানিকে ব্যাংকের সংরক্ষিত মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি ঋণ দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে নতুন নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ ঋণের সীমা তুলে দিয়েছে।
ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মো. নাছের স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে অর্থ সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখার লক্ষ্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য ব্যয় যেমন জমি ক্রয়, মেশিনারি আমদানি ও ক্রয় বাবদ ব্যয়, মেশিনারি স্থাপন সংক্রান্ত ব্যয়, মেরামতের জন্য তাদের প্রয়োজনীয় ঋণ দিতে পারবে ব্যাংকগুলো। এজন্য আগামী পাঁচ বছর ব্যাংকঋণ পেতে সংরক্ষিত মূলধনের ২৫ শতাংশ ঋণ দেওয়ার হিসাব কার্যকর হবে না। এর আগে গত জুলাইয়ে ছয় মাসের জন্য এমন নির্দেশনা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৪ নং আইন) এর ১২১ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তবে, ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ২৬খ(১) ধারার শর্তাংশে উল্লিখিত ২৫ শতাংশ ঊর্ধ্বসীমার স্থলে আগামী পাঁচ বছর জন্য ঊর্ধ্বসীমা কত হবে তা বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারণ করবে।
বর্তমানে দেশে সরকারি কয়লাভিত্তিক নির্মণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্র গুলো হচ্ছে মাতারবাড়ি পাওয়ার স্টেশন, পায়রা থার্মাল পাওয়ার প্লান্ট ও রামপাল পাওয়ার প্লান্ট। আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল তিন পাওয়ার প্লান্ট থেকে বিদ্যুত উৎপাদন হবে যথাক্রমে ১২০০, ১৩২০ ও ১৩২০ মেগাওয়াট। এসব প্রতিষ্ঠানের বাইরে বেসরকারি খাতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করছে এস আলম ও ওরিয়ন গ্রুপ।
এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন কয়লাভিত্তিক এসএস পাওয়ারের নির্মাণকাজ চলছে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে। প্রায় ৬০৬ একর জায়গায় নির্মাণাধীন এই প্রকল্পের ২টি ইউনিটে বিদ্যুত উৎপাদন হবে প্রতিটিতে ৬৬০ মেগাওয়াট করে। আর ওরিয়ন গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অপেক্ষায় রয়েছে।