সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
মেসি, ইনিয়েস্তা, জাভি, পিকে, ভালদেসদের সেই স্বপ্নের বার্সেলোনার কথা মনে আছে? কোচ পেপ গুয়ার্দিওলার মগজাস্ত্রে অবিশ্বাস্য নজির গড়েছিল সেই বার্সা দল। এক ক্যালেন্ডার বছরে সম্ভাব্য সব ট্রফি জিতে ইতিহাসের খাতায় নাম লিখিয়েছিল পেপের বার্সা। মেসি-ইনিয়েস্তাদের সেই বিরল রেকর্ড এবার ছুঁয়ে ফেললে লেওনডস্কি, কিমিকদের বায়ার্ন মিউনিখ। বার্সার পর দ্বিতীয় দল হিসেবে এক বছরে ৬টি ট্রফি জিতে নিল বায়ার্ন।
বৃহস্পতিবার ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে মেক্সিকোর ক্লাব টাইগার্সদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়নের খেতাব জিতে নিল জার্মান ক্লাবটি। মেক্সিকোর এই অনামি ক্লাবটির বিরুদ্ধে বায়ার্ন অবশ্য ফেভরিট হিসেবেই নামত। তবে ম্যাচের আগে টমাস মুলারের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসাটা ধাক্কা হয়ে দাঁড়ায় জার্মান ক্লাবটির জন্য। দলের অন্যতম অভিজ্ঞ তারকাকে হারানোর ফলে মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েন বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাবের ফুটবলাররা। যার প্রভাব দেখা যায় খেলার মাঠে। যে ম্যাচ বায়ার্নের জেতার কথা একপেশেভাবে, সেটায় কোনওমতে এক গোলে জয় পেল তারা। তাও বেঞ্জামিন পাভার্ডের সেই গোলটিও প্রথমে অফসাইডের জন্য বাতিল হয়। পরে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি গোলটিকে বৈধ বলে ঘোষণা করেন। জয়ের ফলে আরও একবার ক্লাব বিশ্বকাপের খেতাব গেল বায়ার্নের পকেটে। যার অর্থ ২০১৯-২০ মরশুমে মোট ৬টি ট্রফিই জিতে নিল জার্মানরা। বুন্দেসলিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ডিএফবি পোকাল, উয়েফা সুপার কাপ, জার্মান সুপার কাপ এবং সবশেষে ক্লাব বিশ্বকাপ। এর আগে একমাত্র বার্সাই ২০০৯ সালে এই নজির গড়েছিল।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি ব্যক্তিগত পুরস্কারগুলিও বায়ার্নের ফুটবলাররাই জিতে নিয়েছেন। টুর্নামেন্টের সেরা ফুটবলার হিসেবে লেওনডস্কি নিজে জিতেছেন সোনার বল। রুপোর বল অবশ্য জিতেছেন টাইগার্সের তারকা আন্দ্রে পিয়ের জিগন্যাক, ব্রোঞ্জের বল আবার জিতে নিয়েছেন যোসুয়া কিমিক। ফাইনালে বায়ার্নকে হারাতে না পারলেও মেক্সিকোর টাইগার্সরা কিন্তু অনন্য এক রেকর্ডের মালিক হয়েছে। প্রথম উত্তর আমেরকিয়ার ক্লাব হিসেবে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে তারা।
খেলা