সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
করোনার আর্থিক ধাক্কা সত্বেও ক্রিকেটারদের বেতনে হাত দেয়নি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। বিসিসিআইয়ের সঙ্গে যুক্ত কোনও কর্মীর বেতনও কাটা হয়নি। কাউকে চাকরি থেকে বরখাস্তও করা হয়নি। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন বিসিসিআইয়ের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধূমল। তবে, আর্থিক ধাক্কা সামলাতে বোর্ডকে যে হিমশিম খেতে হচ্ছে, সেকথা স্বীকার করেছেন তিনি। ধূমল জানিয়েছেন, সৌরভের নেতৃত্বাধীন বোর্ড মূলত খাওয়াদাওয়া এবং যাতায়াতের খরচ কমানোর চেষ্টা করছে।
করোনার জেরে সব শিল্পই কমবেশি প্রভাবিত। ব্যতিক্রম নয় ক্রিকেটও। অধিকাংশ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বাতিল। অধিকাংশ বোর্ডই সম্প্রচারকারী সংস্থার সঙ্গে চুক্তির নবীকরণ করতে পারেনি। যার জেরে শুধুমাত্র বিসিসিআই এবং ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড ছাড়া আর সব বোর্ডের অবস্থা শোচনীয়। এদিকে এখনও পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে আছে আইপিএল। যা কিনা ভারতীয় বোর্ডের রোজগারের মুল উৎস। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় বোর্ডের উপরও যে আর্থিক ধাক্কা আসছে, তা বলাই বাহুল্য। তবে সেই ধাক্কা সামলাতে ক্রিকেটার বা বোর্ডের কোনও কর্মীর বেতনে এখনও হাত পড়েনি।
ভিলেন করোনা ক্রিকেটপ্রেমীদের থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কেড়ে নিয়েছে আইপিএল। কোটি টাকার এই টুর্নামেন্ট বাতিল হয়ে গেলে ভারতীয় বোর্ডের বিরাট ক্ষতি হতে পারে। এই ক্ষতি সামাল দেওয়া তখন হয়তো সম্ভব হবে না বিসিসিআইয়ের পক্ষে। তাই ধূমল জানিয়ে রাখছেন, এখনও বেতন কাটা না হলেও শেষপর্যন্ত যদি আইপিএল সম্ভব না হয়, তাহলে বিরাটদের বেতনে হাত পড়তেই পারে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বোর্ডের এই পদাধিকারী বলছেন, করোনার আর্থিক ধাক্কা সামলাতে এখনও বেতন কাটা বা কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে হয়নি বিসিসিআইকে। আমরা অন্য খাতে খরচ কমাচ্ছি। পদাধিকারিদের যাতায়াতের খরচ, খাওয়া-দাওয়ার খরচ, এসব কমানো হচ্ছে। তবে আইপিএল বাতিল হলে আরও একবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হবে।
খবর : সংবাদপ্রতিদিন’র।
খেলা