সুপ্রভাত ডেস্ক »
অক্টোবরের আকাশ বোঝার চেয়ে মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামের উইকেটের আচরণ বোঝা যেন ঢের কঠিন। এই মাঠে খেলতে আসা বিদেশি ক্রিকেটার ও কোচরা সেখানকার উইকেটকে প্রায়শই কাঠগড়ায় দাঁড় করান। মাস তিনেক আগে বাংলাদেশে খেলতে এসে মিরপুরের উইকেট নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়েন পাকিস্তানের কোচ মাইক হেসন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত ওয়ানডে সিরিজেও উইকেট নিয়ে অনেক চর্চা ছিল।
সিরিজের আগে থেকেই উইকেট কেমন হবে তা নিয়ে আলোচনায় মশগুল ছিল সবাই। মিলেও গিয়েছিল অনেকের ধারণার সঙ্গে, যথারীতি স্লো উইকেট বানানো হয়েছিল মিরপুরে। পুরো ওয়ানডে সিরিজই হয়েছে হোম অব ক্রিকেটে, মিরপুরের কালো উইকেটে শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানে জেতে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বর্তমানে দুই দল চট্টগ্রামে অবস্থান করছে। সেখানকার উইকেটে অবশ্য ভিন্ন চিত্র। উইকেটের রং যথারীতি সবুজ, রয়েছে হালকা ঘাসও।
স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, স্পোর্টিং উইকেট করার চেষ্টা করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে ১৭০ থেকে ২০০ রান হওয়ারও সম্ভাবনা আছে। গতকাল সারা বিকেল টার্ফ ম্যানেজমেন্টের প্রধান টনি হেমিং এবং চট্টগ্রামের পিচ কিউরেটর জাহিদ রেজা বাবু উইকেটের তদারকি করেছেন। বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে (সাবেক জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম) মাঠে দাঁড়িয়ে লম্বা সময় ধরে আলাপ করতে দেখা যায় উভয়কে।
ক্যারিবিয়ানদের প্রধান কোচ ড্যারেন সামিরও নাকি প্রিয় ভেন্যু চট্টগ্রাম। যে কারণে এই ভেন্যুতে তিনি নিজেও স্পোর্টিং উইকেটের আশা করছেন। এদিকে, প্রথম ওয়ানডের পর হঠাৎ করেই ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ থেকে ঢাকায় উড়িয়ে আনা হয় বাঁ-হাতি স্পিনার আকিল হোসেনকে। তিনি তো আছেন–ই, ওয়ানডে সিরিজের পর টি-টোয়েন্টি দলে যুক্ত করা হয় বাড়তি স্পিনার। যদিও খারি পিয়েরে ওয়ানডেতে সেভাবে ভালো করতে পারেননি।
দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে আকিল রাতে এসে পরদিন দুপুরেই ক্যারিবীয়দের একাদশে ঢুকেছিলেন। স্পিনবান্ধব দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়েও অবদান ছিল আকিলের। পরবর্তীতে তিনি মিরপুরের কালো মাটির উইকেট নিয়ে খোঁচা দিয়েছিলেন। আকিলের মতে– বাসায় বসে খেলা দেখার সময় মনে হয়েছিল টিভিতে সমস্যা। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ-উইন্ডিজ ২৭, ২৯ ও ৩১ মুখোমুখি হবে। ম্যাচ শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়।




















































