সুপ্রভাত ডেস্ক
বিশ্বজুড়ে ঔষধ নির্মাতা ও গবেষকদের মধ্যে করোনা ভাইরাসের টিকা উদ্ভাবনে প্রতিযোগিতার প্রেক্ষাপটে বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেট এক নিবন্ধে আশা প্রকাশ করেছে, কোভিড -১৯-এর টিকা গবেষণায় দ্রুত সাফল্য পাওয়া যাবে।
বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস মেডিকেল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং ভ্যাকসিনোলজিস্ট পেনি হিটনের উদ্ধৃতি দিয়ে এতে বলা হয়, ‘এ পর্যন্ত যা ঘটেছে তা আশ্চর্যজনক বললে বাড়িয়ে বলা হবে না।’
বিশেষজ্ঞরা অনুমান করেছেন যে একটি টিকার পরিবর্তে একযোগে বেশ কয়েকটি টিকা উদ্ভাবন হয়ে যেতে পারে।
কিছু ভ্যাকসিন খুবই কার্যকর হতে পারে। তবে, একটি কম-কার্যকর ভ্যাকসিনই বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে যূথ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রদানে যথেষ্ট কার্যকর হতে পারে।
বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, বিশ্বজুড়ে বর্তমানে ১০০ টিরও বেশি টিকা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
ল্যানসেট অবশ্য বলেছে যে টিকা উদ্ভাবন সাধারণত একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। একটি ভ্যাকসিন তৈরি করতে গড়ে ১০ বছর সময় লাগে।
ল্যানসেট ইবোলা ভ্যাকসিনের উদাহরণ দিয়ে বলে, এই মারাত্মক ভাইরাস সনাক্ত হওয়ার ৪৩ বছর পরে এর টিকা তৈরি সম্ভব হয়। এছাড়া, বিপুল বিনিয়োগ সত্ত্বেও এইচআইভির ভ্যাকসিন তৈরিতে অগ্রগতি খুবই সামান্যই।
জার্নালটি মন্তব্য করছে যে, প্রথম ভ্যাকসিনের জন্য ১৮ মাস একটি অবিশ্বাস্য সময়সূচি। তবে, কয়েকজন আশাবাদী মনে করেন, ২০২০ সালের মধ্যে কয়েক মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন প্রস্তুত করা সম্ভব হতে পারে।