সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
মাঠের বাইরে তার দলবদল ঘিরে জল্পনার অন্ত নেই। কিন্তু তার আঁচ তিনি কখনওই পড়তে দেননি মাঠে। গত শনিবার রাতেও চেনা ছন্দে ধরা দিলেন লিও মেসি। আর সেই সৌজন্যে আরও একবার কোপা দেল রে ট্রফি ঘরে তুলল বার্সেলোনা।
এবারই কি বার্সার জার্সিতে কোপা দেল রে’তে শেষবার নামছেন এলএম টেন? ম্যাচ শুরুর আগেও এ নিয়েই জলঘোলা ছিল তুঙ্গে। কারণ পিএসজি ও ম্যানচেস্টার সিটির মতো হেভিওয়েট দল তাকে সই করানোর জন্য কোমর বেঁধে আসরে নেমেছে। যদিও ধোঁয়াশা উড়িয়ে ক্লাবের নতুন প্রেসিডেন্ট জোয়ান লাপোর্তা সাফ জানিয়ে দেন, বার্সাতেই থাকছেন মেসি। আর তারপরই ভক্তদের স্মরণীয় একটি ম্যাচ উপহার দিলেন আর্জেন্টাইন তারকা। ৪-০ গোলে হারল অ্যাথলেটিক বিলবাও। জোড়া গোল করলেন মেসি। যার মধ্যে প্রথম গোলটি ঈশ্বরিক বললে এতটুকু বাড়িয়ে বলা হয় না। ম্যাচ শেষে বার্সা মহাতারকা বলে দেন, ‘প্রথম থেকে যে ক্লাবের হয়ে খেলছি, তাকে নেতৃত্ব দিতে পারাটা আমার কাছে সবসময় স্পেশ্যাল। আর তার চেয়েও বেশি স্পেশ্যাল সেই দলের হয়ে ট্রফি জেতাটা।’
খেলার প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্থে আক্রমণের ধার বাড়ায় ক্যাটালান ক্লাব। মাত্র ১২ মিনিটে চার-চারটি গোল হজম করে বিলবাও। ৬০ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন গ্রিজম্যান। তিন মিনিট পরই দ্বিতীয় গোলটি আসে ফ্রেঙ্কি ডি জংয়ের হেড থেকে। এরপরই ৬৮ ও ৭২ মিনিটে পরপর গোল করে বিলবাওয়ের আত্মবিশ্বাসে ধস নামান মেসি। আর তাতেই বার্সার জার্সি গায়ে ৩৫ তম ট্রফি জয় নিশ্চিত করলেন তিনি। এনিয়ে ৩১বার কোপা দেল রে’র ইতিহাসে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে খোদাই হয়ে থাকল বার্সেলোনার নাম।
বায়ার্ন মিউনিখের কাছে লজ্জার হারের পর হতাশাগ্রস্ত বার্সেলোনার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন কোম্যান। দলের আত্মবিশ্বাস ফেরাতে কম কসরত করতে হয়নি তাকে। তাই প্রথম ট্রফি জিতে উচ্ছ্বসিত তিনি। রাখঢাক না করেই বার্সা কোচ বলে দিলেন, ‘এই খেতাব জয়টা আমার জন্যও খুব দরকার ছিল।’ এই জয়ই লা লিগায় লড়াই করতে উৎসাহ জোগাবে বলে আশা কোম্যানের।
খেলা